আলু খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা।
আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি ?সেই বিষয়টি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোক হওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা সকলেই জানেন যে আলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কতটা উপকারী একটি সবজি।
আপনাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। কারণ এখানে আপনারা আলু সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
প্রতিদিন আলু খেলে কি হয়?
আমরা সকলেই জানি যে, আলো আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজির ভেতরে একটি। আমরা সকলেই কম বেশি আলু খেতে পছন্দ করি। আমরা এই আলুকে মাছ, মাংস ও ডিম এই সকল কিছু দিয়েও খেতে পারি। আপনারা সকলেই একটি বিষয় নিয়ে ব্যাপক বিতর্কে থাকেন যে প্রতিদিন আলু খেলে আমাদের শরীরের কি হতে পারে বা এটি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন আলো খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে।
- আমরা চাইলে প্রত্যেকদিন একটি করে আলু খেতে পারি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং পটাশিয়াম চা আমাদের রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
- আপনারা আপনাদের ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য প্রতিদিন একটি করে আলু খেতে পারেন। কারণ এটি আপনাদের শরীরের ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
- প্রতিদিন আলু খেলে আপনাদের হজম শক্তি বাড়তে পারে। কারণ আলুতে থাকা ফাইবার শরীরে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- প্রতিদিন আলু খেলে আপনাদের প্রোটি, ফাইবার ভিটামিন সি, ও ভিটামিন বি6, ম্যাগনেসিয়াম সহ আরও বিভিন্ন ধরনের উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
- নিয়মিত আলু খেলে আপনাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
- দাঁত বা মাড়ির সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আলো খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের দাঁত ও মজবুত করতে খুবই উপকারী।
- আমরা দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত আলো খেতে পারি। তাহলে এটি আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারে আসবে।
বাচ্চাদের মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা
আমরা আমাদের বাচ্চাদের ভালোবেসে নানা কিছুই খাওয়ায়। কিন্তু বাচ্চারা অনেক সময় জেদ করে কিছু পুষ্টিকর খবর খেতে চাই না। তখন তাদের জেদ ধরার কারণেই আমরা তাদেরকে আর জোর করে খাওয়াই না। এতে বাচ্চাদের মধ্যে পুষ্টির অভাব থেকে যায়। আর এই পুষ্টির অভাব মেটানোর জন্য আপনারা চাইলে বাচ্চাদের মিষ্টি আলু খাওয়াতে পারেন। কারণ এটি যেমন খেতেও মিষ্টি তেমনি এর মধ্যে রয়েছে নানান রকম পুষ্টিকর উপাদান। যেগুলো আমাদের বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে থাকে। নিচে বাচ্চাদের মিষ্টি আলো খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর উপকারিতা। ফলে আপনার বাচ্চাদের নানান ধরনের রোগ যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে বাঁচতে মিষ্টি আলু খাওয়ার বিকল্প কিছু নেই।
- মিষ্টি আলু খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চাদের বিটাকার রুটিন এবং ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ করে থাকে।
- যেহেতু মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি সেহেতু এটি আপনার বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। মিষ্টি আলু খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কিছু রোগ যেমন সর্দি, কাশি এই সকল রোগ বালাই থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে।
- মিষ্টি আলু খাওয়ার ফলে আপনার বাচ্চার অ্যানিমিয়া এর মত রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে।
- মিষ্টি আলুকে যদি চিকেন সুপ দিয়ে আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানো যায় তাহলে এর পুষ্টিকর ও প্রোটিনযুক্ত ঝোল আপনার শিশুর দেহের বিকাশে সহায়তা করে থাকে।
আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা সকলেই প্রায় আলো খেতে পছন্দ করি। কারণ আমরা কমবেশি সবকিছুতেই আলো খেতে ভালবাসি। ভাত, রুটি, মাছ, মাংস ইত্যাদি এই সকল জিনিস দিয়ে আমরা আলু খেয়ে থাকি। আর আমাদের প্রায় সবার বাড়িতে কমবেশি আলু সবজিটি বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে আলুর মধ্যে কি কি উপকারিতা এবং এর মধ্যে কি কি অপকারিতা রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আলো খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।
উপকারিতা
- আলুর মধ্যে রয়েছে ফাইবার, জিংক, এবং ক্যালসিয়াম যেগুলো আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী উপাদান।
- এছাড়াও আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি6 এবং ভিটামিন সি যা আমাদের সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- নিয়ম নীতি মেনে আলু খাওয়ার ফলে এটি আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে।
- আমাদের অনেকেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। তাদের জন্য হার ভালো রাখতে আলোর বিকল্প কিছু নেই। কারণ এটি আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে। সেই সাথে এটি আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- আলু আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী একটি সবজি। আমরা চাইলে আলোর রসকে আমাদের ত্বকের যে সকল জায়গায় দাগ রয়েছে সে সকল জায়গায় লাগিয়ে রাখতে পারি। এটি আমাদের ত্বকের দাগ এবং অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে থাকে।
অপকারিতা
- আলুতে অধিক পরিমাণে উপকারিতা থাকলেও কিছু পরিমাণে অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত আলু খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
- আমরা অবশ্যই সবুজ আলু রান্না করার সময় সেটিকে ভালোমতো ধুয়ে তারপর রান্না করব। তা না হলে এর মধ্যে থাকার রাসায়নিক পদার্থ আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
- গর্ভবতী মহিলারা কাঁচা আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এটি আপনাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তবে আপনারা চাইলে ভাজা আলু খেতে পারেন।
- অপরিমিতভাবে আলু খাওয়ার কারণে এটি আমাদের রক্তের শর্করার ভারসাম্য হারাই যার ফলে আমাদের শরীরের ডায়াবেটিস এর জটিলতা দেখা দেয়।
খালি পেটে আলু খেলে কি হয়?
আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে, আলু আমাদের কত ধরনের উপকারে আসে। তবে আপনারা অনেকেই জানেন না যে খালি পেটে আলু খেলে আমাদের কি ধরনের উপকারিতা হয়ে থাকে। আমরা যদি রোজ খালি পেটে আলু রস খায় তাহলে এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আলুতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে তাই এটি আমাদের দেহের স্নায়ু, কিডনি ও হার্ড ভালো রাখতে খুবই উপকারে আসে।
আমরা যারা ডায়েট কন্ট্রোল করি তারা চাইলে রোজ একটি করে আলু খেতে পারি। তাহলে এটি আমাদের ভালোমতো রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও খালি পেটে আলু খেলে এটি আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে থাকে।
পরিশেষে বলতে পারি যে, আমরা যদি নিয়ম-নীতি মেনে খালি পেটে আলু খায় তাহলে এটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজে আসে এবং বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে রেহাই দিয়ে থাকে। দরকারে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খালি পেটে আলু খেতে পারি। তাহলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না।
আলু খাওয়া বন্ধ করলে কি হয়?
আমাদের দেশে কম বেশি সবার বাড়িতেই আলুর নানা ধরনের সবজি তৈরি হয়ে থাকে। আর তার চেয়েও মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের সবার এরই আলুর তরকারি সবচেয়ে বেশি পছন্দের। এই জন্যই আমরা সকলেই আলো খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আমরা অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে আলু খাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমরা জানি না যে এই আলু খাওয়া বন্ধ করে দিলে আমাদের শরীরে কি পরিবর্তন আসতে পারে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আলু খাওয়া বন্ধ করলে কি হতে পারে?
আলু এমন এক ধরনের সবজি যেটি আমাদের জন্য খুবই এনার্জেটিক একটি খবর। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। তবে এই আলোকে বেশি তেল ব্যবহার করে রান্না করলে এর মধ্যে থাকা ক্যালরির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায়। আর এজন্য আমাদের শরীরের ওজন বা ফ্যাট দেখা দিতে পারে। এজন্যই যারা ডায়েট করছেন তাদের অবশ্যই তেলে ভাজা আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে আপনাদের ওজন বেড়ে যেতেও পারে।
তবে আপনারা যদি ক্যালরিযুক্ত আলো গ্রহণ করেন তাহলে আপনাদের কোন রকম সমস্যা দেখা দেবে না এবং আপনাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে আলুক হওয়া বাদ দিলে তাদের দৈনিক কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমতে থাকে। তাছাড়াও আমাদের সকলের আলোর চিপস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত লবণ সেখানে (সোডিয়াম) থাকে। যা আমাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ ও ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিন্তু আমরা যদি আলুকে পরিমিত খাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে তাহলে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। একজন সুস্থ সবল মানুষদের জন্য অবশ্যই আলু খাওয়া তাদের শরীরের সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। তাই আমাদের উচিত হবে যে কোন রকম সমস্যা ছাড়া আমরা যেন আলো- খাওয়া বন্ধ না করি। তা না হলে এটি আমাদের শরীরের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আলু খেলে কি রক্তচাপ বাড়ে?
আমাদের উপমহাদেশে আলোর পরিচিতি সেই ১৬০০ শতাব্দী থেকেই। পরে আস্তে আস্তে এই আলু আমাদের প্রভু মহাদেশের জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিণত হয়ে থাকে। আমরা চাইলে আলোকে ভাজা, রান্না, সিদ্ধ এবং ভর্তা সব রকম ভাবেই খেতে পারি। যেহেতু আলুর মধ্যে ভিটামিন বি,সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, কপার, ইত্যাদি সহ আরব বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। যার কারণে এটি আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে থাকে। আপনারা সকলেই জানেন না যে, পরিমিতভাবে আলু খেলে এটি আমাদের রক্তচাপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচুর পরিমাণে ক্লোজেনিক এসিড রয়েছে যেটি আমাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। আলুতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৪২১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে যেটি আমাদের রক্তচাপ কমাতে খুবই উপকারী। আর আলোতে যেহেতু পটাশিয়াম এর উৎস প্রচুর পরিমাণে রয়েছে সেহেতু আপনারা সকলেই জানেন যে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পটাশিয়াম এর গুরুত্ব কতটুকু।
এজন্যই আমরা বলতে পারি যে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আলুর ভুমিকা অপরিসীম। তবে সেটি অবশ্যই পরিমিত অবস্থায় খেতে হবে। তা না হলে আমরা যদি আলুকে ভাজা বা আলুর চিপস এই সকল অপরিমিত খাওয়ার খায়। তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য বা শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকেরে আর্টিকেলে আমরা আপনাদের মাঝে আলো খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আরো বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আলু কতটা উপকারী। এজন্যই আমি আপনাদের মাঝে বলতে চাই যে, আমরা অবশ্যই নিয়ম-নীতি মেনে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আলু খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং আলুর তৈরিকৃত বিভিন্ন ধরনের চিপস, ভাজা আলু ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
এই ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন। আর চাইলে আপনারা আমার এই ওয়েবসাইট থেকে ফলো করতে পারেন। আমার এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করা হয়। আজকের মত এইখানেই আপনাদের শুভকামনা জানিয়ে বিদায় নিলাম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url