তল পেটের চর্বি কমানোর ২০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বলা হবে। বর্তমান সময়ে আমাদের তলপেটে চর্বি হওয়ার বিষয়টা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে কিভাবে তলপেটের চর্বি কমানো যায় সেই বিষয়ে।
তলপেটে চর্বি কমানোর উপায় ছাড়াও আরও বিভিন্ন সম্পর্কে আলোচনা করা হবে আজকের আর্টিকেলে। এজন্যই আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
ছেলেদের পেটের চর্বি কমানোর উপায়
আমাদের প্রায় সকলের জন্যই পেটে অতিরিক্ত চর্বি বা ভুঁড়ি একটি অস্বস্তিকর বিষয়। আর এটি আমাদের পুরুষদের জন্য একটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত পেটের ঘের পুরুষের জন্য ৪০ ইঞ্চি আর নারীদের ৩৫ ইঞ্চির কম হলে ভালো। আর এর চেয়ে বেশি হলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হিসেবে ধরা হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ছেলেদের পেটের চর্বি কমানোর কিছু কার্যকরী উপায় সম্পর্কে।
- প্রথমত আপনাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফল, শাক-সবজি, প্রোটিন এই সকল খাবার খান। আর চর্বিযুক্ত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার বা অ্যালকোহল যুক্ত ড্রিংকস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- আর অবশ্যই খাবার খাওয়ার সময় দ্রুত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ দ্রুত খাওয়ার খাওয়ার ফলে এই খাবারটি আমাদের পাকস্থলী থেকে আমাদের ব্রেইনে নাও পৌঁছাতে পারে।
- ছেলেদের পেটের চর্বি কমানোর আরেকটি বিশেষ উপায় হচ্ছে প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম এর অভ্যাস করা। প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট ব্যায়াম করুন। আর এই ব্যায়ামের মধ্যে থাকতে হবে দৌড়ানো, সাইকেলিং, সাঁতার কাটা এবং এর পাশাপাশি শক্তি বাড়ানো এবং মাংসপেশি বৃদ্ধি করার ব্যায়াম যুক্ত করুন।
- অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন পানি পান করুন। তাহলে এটি আপনাদের শরীরের অতিরিক্ত খাবার হজম করতে সাহায্য করবে।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তা না হলে ঘুম বেশি বা কম হলে এটি আপনাদের শরীরে চর্বি বাড়াতে পারে।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস আমাদের পেটের চর্বি বৃদ্ধি করার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই ট্রেস কমানোর জন্য বিকল্প উপায় অবলম্বন করুন।
- আর তাছাড়াও মাঝেমধ্যে আপনাদের ক্ষুধা লাগলে স্বাস্থ্যকর কিছু স্ন্যাকস যেমন বাদাম, ফল, বা যেকোনো চর্বি বিহীন খাবার খেতে পারেন।
কি কি খাবার খেলে পেটের চর্বি কমে?
আমাদের শরীরে চর্বি জমলে এটি আমাদের শুধু শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট করে না বরং এটি আরো বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর আমাদের শরীরে চর্বি হওয়ার মূল কারণগুলো হচ্ছে ঘুমের ধরন, প্রতিদিনের খাবার খাওয়া এবং বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে চর্বি জমতে পারে। আর এজন্যই পেটে চর্বি কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে হবে। নিচে কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যা আপনার চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারেঃ
- আমাদের শরীরের চর্বি কমানোর জন্য আমাদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আর এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, মাংস, ডাল, এবং ডিম। এই খাবারগুলো আপনাদের সেই শরীরের প্রোটিনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং পেটে চর্বি কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
- আমাদের শরীরে চর্বি কমাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আর এই ফাইবার যুক্ত খাবার গুলো হ্যালো বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি শাক-সবজি। যা খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে হজম শক্তি বাড়ায়। যার ফলে আমাদের শরীরে চর্বি জমাট বাঁধতে পারে না।
- আদা, রসুন, হলুদ, এবং দারুচিনি এই মসলাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই এই মসলাগুলো আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে খেতে পারি।
- আর অবশ্যই আমাদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ক্লাস পানি খেতে হবে চর্বি কমানোর জন্য। কারণ শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ বের করতে পানির ভূমিকা অপরিসীম। তাই আমরা নিজেদের চর্বি কমানো বা ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করব।
- আমরা আমাদের চর্বি কমানোর জন্য ফল খেতে পারি। কারণ ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল ও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- আর আমাদের শরীরের পুষ্টি বজায় রাখার জন্য অবশ্যই কিছু স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার যেগুলো হচ্ছে অলিভ অয়েল এবং বাদাম যা আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস হিসেবে কাজ করে।
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
আপনারা চান বা না চান, কিন্তু আপনাদের তলপেটের চর্বি কমানো খুবই কঠিন একটি কাজ। তবে চর্বি হওয়া বিষয়টা আমাদের নিয়ন্ত্রণেও থাকে না। কারণ আমাদের বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া, বা দুশ্চিন্তা করার কারণেও আমাদের তলপেটে চর্বি জমতে পারে। আর এই সমস্যা থেকে আমাদের জন্য অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায়। তবে তলপেটে চর্বি কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনারা আপনাদের তলপেটে চর্বি কমাতে সাহায্য পেতে পারেন। নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- প্রথমত তলপেটে চর্বি কমানোর জন্য আপনারা প্রতিদিন জোরে জোরে হাটার অভ্যাস করুন। এর ফলে আপনাদের তলপেটে চর্বি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
- আপনাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। যেসব খাবার খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরে চর্বির পরিমাণ কমে আসবে।
- তলপেটের চর্বি কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নিয়মিত ওয়ার্ক আউট বা ব্যায়াম করা। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে এটি আপনার শরীরের চর্বি কমানোর পাশাপাশি এটি আপনাদের শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখে এবং শরীরকে সাহায্য করে থাকে।
- প্রতিদিন অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন এবং যে কোন মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করবেন। তা না হলে মানসিক চাপের কারণে এটি কোরটিসল হরমোন বাড়াতে পারে যা আমাদের পেটে চর্বের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
- আর অবশ্যই মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় পানি, ফাস্টফুডুড এই সকল খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। আর প্রাকৃতিক খাওয়ার বা ঘরে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলে আপনাদের তলপেটের চর্বি আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে আসবে।
- আর খাওয়ার সময় অবশ্যই মনোযোগ সহকারে খাওয়ার অভ্যাস করুন। আনমনে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ আনমনে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে যেতে পারে।
কি ব্যায়াম করলে পেটের চর্বি কমে?
পেটে অতিরিক্ত চর্বি নারী এবং পুরুষ সবার জন্য অস্বস্তিকর। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের পেটে চর্বি বাড়তেও দেখা যায়। আর পেটের চর্বি বাড়লে সবার বিপত্তিও বেড়ে যায়। আর দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটের চর্বি কমানো অনেক কঠিন একটি কাজ। আর এই পেটের চর্বি কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী ব্যায়াম রয়েছে। তাহলে চলুন পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর জন্য যেসব ব্যায়াম করা দরকার সেইসব সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। নিজে সেই সকল ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
- প্রথমেই আমাদের কার্ডিও ব্যায়াম করতে হবে। যেগুলোর মধ্যে থাকতে পারে দৌড়ানো, সাইকেলিং, সাঁতার কাটা এবং দ্রুত হাঁটা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। আর এই কার্ডিওব্যায়াম আপনাদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এ সকল রোগ বালাই থেকে বাঁচতে ও সাহায্য করে থাকে।
- প্ল্যাঙ্ক এক্সারসাইজ টি আপনার পেটের পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে এবং আপনাদের পেটের চর্বি কমাতে এটি বিশেষ উপকারী একটি ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ। আর এই এক্সারসাইজ টি ৩০ সেকেন্ড থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে সময় বাড়ানোর চেষ্টা করবেন।
- বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেস এই ব্যায়ামটি করার জন্য আপনারা প্রথমে আপনাদের শরীরকে টানটান করে দাঁড়ান। তারপর একটি পা হাঁটু ভেঙ্গে বুকের কাছে তুলুন। দুই হাত মাথার পিছনে রাখুন খেয়াল রাখবেন যে পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন সেটি যেন হাঁটোনা ভাঙ্গে। এই ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর মাধ্যমে আপনাদের পেটের চর্বি কমতে সাহায্য করবে।
- লেগ রেইজ এই ব্যায়ামটি হল মাটিতে শুয়ে পা উঁচু করে রাখা। যার ফলে এটি আপনার পেটের নিচের অংশের পেশিগুলোকে কাজ করায়।
- পেটের চর্বি কমানোর জন্য সিট আপ এক্সারসাইজটিও খুবই কার্যকরী। এই ব্যায়ামটি করার ফলে এটি আপনাদের পেটের পেশিগুলোর ওপর প্রচুর পরিমাণে প্রেসার দেয় এর ফলে আপনাদের পেটের চর্বিগুলো কমাতে সাহায্য করে থাকে এই ব্যায়ামটি।
এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিতভাবে করার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, যেমন উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার কমানো এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা, পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
৪০ বছর পর ওজন কমানোর উপায়
সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের অবস্থাও কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ওজনও বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার ফলে ৪০ বছর পর ওজন কমানো ব্যাপারটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও পরামর্শ অনুসরণ করে কাজ করে গেলে ৪০ বছর বয়সও ওজন কমানো সম্ভব। নিচে ৪০ বছর বয়সে ওজন কমানোর সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- প্রথমত শরীরের ওজন কমানোর জন্য সুস্থ খাবার খাওয়া অতীব জরুরি। আর এজন্যই প্রতিদিন শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রোটিন যুক্ত খাবার খান। আর অবশ্যই ফাস্টফুড ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ করা থেকে এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত ছোট ছোট খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন যা আপনার বিপাক প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, এবং পারলে নিয়মিত সাঁতার কাটার চেষ্টা করুন।
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমই আপনাদের ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করে যান।
- আর আপনারা চাইলে একটি পুষ্টিবিদ বা ফিটনেস ট্রেনারের সাহায্য নিতে পারেন। যারা আপনার বয়স এবং স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনাদের পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এই সকল বিষয়ে অনুসরণ করে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারবেন এবং ৪০ বছর বয়সেও আপনার ওজন বজায় রাখতে পারবেন। আর অবশ্যই মনে রাখার চেষ্টা করবেন ধৈর্য এবং স্থিতিশীলতা আমাদের সবকিছুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপরের পেটের মেদ কমানোর উপায়
উপরের পেটের মেদ বা ফ্যাট আমাদের জীবনে একটি কমন সমস্যা বললেই চলে। এ সমস্যা আমাদের উপরের পেটের চর্বি জমে আমাদের কোমরের সাইজ নষ্ট করে দেয়। যার ফলে আমাদের উপরের পেট ফুলে থাকার কারণে আমাদের শরীরের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। আর এই ওপরের পেটের মেদ কমানো বেশিরভাগ মানুষের জন্যই কষ্টকর হয়ে যায়। তাহলে চলুন উপরের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমত আমরা সকলেই বিভিন্ন জাঙ্ক ফুড বা ভাজাপোড়া খেতে অভ্যস্ত। এই সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- আর আমরা অনেকেই আলসেমি করে কোন ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করিনা। যার জন্য আমাদের উপরের পেটের মেদ বেড়ে যায়। এজন্যই আমরা চেষ্টা করব প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করার।
- উপরের পেটের মেদ কমানোর আরেকটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে প্রত্যেকদিন এক ক্লাস কুসুম পানি গরম করে তার সাথে লেবু এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি আমাদের উপরের পেটের মেদ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
- উপরের পেটের মেদ কমানোর জন্য সঠিক নিয়মে ডায়েট অনুসরণ করতে হবে। আর সঠিক পরিমাণ মানে ডায়েট করার ফলে এটি আমাদের শরীরের ফিটনেস বজায় রাখে এবং অতিরিক্ত মেদ কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
- অতিরিক্ত শর্করা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন এবং প্রোটিন ও ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন যেমন মাংস, ডাল, সবজি ও ফল।
এসব পদ্ধতি অনুসরণ করলে সময়ের সাথে সাথে আপনার পেটের মেদ কমতে সাহায্য করবে। এজন্যই অবশ্যই উপরের আলোচনা গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে তল পেটের মেদ কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাছাড়াও এখানে তলপেটের মেদ কমানোর উপায় সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
এরকম আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর আপনাদের কোন কিছু জানার থাকলে আমার হোয়াটসঅ্যাপে নক দিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url