ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা।

ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়? সেই বিষয়ে আজকে আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনে নিন। সাধারণত আমরা অনেক সময় ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন ধরনের ভুল করে থাকি। যার ফলে এই ভুল সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সংশোধন করার পরেও অনেক সময় ভুল দেখা যায়। তাই ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানুন।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
এখানে ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন সহ আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই আপনারা এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে

কমবেশি আমাদের সবারই ভোটার আইডি কার্ডে নামের ভুল পাওয়া যায়। এর জন্য আপনারা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে অনলাইন থেকে খুব সহজেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করতে পারবেন। তবে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজন হয়?
  • প্রথমত আপনার এসএসসি বা এইচএসসি সমমানের সার্টিফিকেট লাগবে।
  • আপনার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি লাগবে।
  • আপনার যদি পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে তাহলে সেইগুলার ফটোকপি লাগবে।
  • এমপিও/ সার্ভিস বাইরের কপি।
  • যদি আপনার বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে বিবাহের কাবিন নামা লাগবে।
  • সন্তানদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে যেখানে অবশ্যই পিতা-মাতার নাম শুদ্ধ থাকতে হবে।
  • আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও লাগবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে আমাদের কোন দেশের নাগরিক হতে গেলে সেখানকার ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা আবশ্যক। এজন্য আমরা ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করে থাকে। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের ভোটার আইডি কার্ডে অনেক ভুল তথ্য দিয়ে থাকে। যার জন্য পরবর্তীতে আমাদের ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করতে হয়। 

তবে অনেকেই জানেন না যে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা প্রয়োজন? আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ভোটার আইডি কার্ডের বিভিন্ন তথ্য সংশোধন করতে কত টাকা লাগতে পারে। সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে ভ্যাটসহ মোট ২৩০ টাকা লাগে। 

এখানে ফি ২০০ টাকা এবং ১৫% ভ্যাট ৩০ টাকা দিয়ে মোট ২৩০ টাকা। তবে এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র এর অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে ভ্যাটসহ ১১৫ টাকা ফ্রি প্রদান করা লাগে। এটি প্রথমবার আবেদন করার সময় লাগে। পরবর্তীতে যতবার আবেদন করবেন প্রত্যেকবারই ব্যাট সহ মোট ৫৭৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।

ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়

আমাদের অনেক সময় দেখা যায় যে, আমাদের এনআইডি কার্ডে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ভুল দেওয়া থাকে। সেটি পরবর্তীতে সংশোধন করলেও দেখা যায় যে, সেখানেও ভুল রয়েছে। এজন্য আমরা অনেকেই হতাশার মধ্যে সময় পার করে থাকে। যেহেতু এনআইডি কার্ড আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজে বা চাকরিতে বা বিভিন্ন ধরনের আবেদন পত্রের জন্য দরকার হয়ে থাকে। 
ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়
সেক্ষেত্রে যদি আমাদের এনআইডি কার্ডে ভুল থাকে তাহলে পরবর্তীতে এটি আমাদের চাকরি বা আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এজন্য আপনাদের জেনে থাকা উচিত যে আসলে আমাদের এনআইডি কার্ডটি কতবার সংশোধন করা যায়। সাধারণত তথ্যসূত্র অনুসারে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যায় যে একটি এনআইডি কার্ড শুধুমাত্র একবারই সংশোধন করা যাবে। 

তবে এক্ষেত্রে যদি এনআইডি কার্ড দিয়ে যুক্তিযুক্ত না হয় তাহলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে আপনাদের অবশ্যই এনআইডি কার্ড আবেদন করার সময় যথাযথ সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার এন আইডি কার্ডটি তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

ভোটার আইডি কার্ড বয়স সংশোধন করতে কি কি লাগে

জাতীয় পরিচয়পত্রের বয়স সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে? এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ অনেক সময় আবেদন করার সময় অনেকের বয়স ভুল দিয়ে থাকে যা আমাদের জন্ম নিবন্ধন এর বয়সের সাথে মিল যায় না। যার ফল আমাদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

আপনারা ইতিপূর্বেই জেনে এসেছেন যে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম সংশোধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে এই সম্পর্কে। এখন আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন যে জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স সংশোধন করতে আপনাদের কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • প্রথমত আপনাদের এসএসসি অথবা এইচএসসি সমাপনী শিক্ষা সনদ লাগবে।
  • অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন এর সনদ লাগবে।
  • পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে ( শিক্ষা সনদ না থাকলে)।
  • এমপিও সিট/ সার্ভিস বহি ( সরকারি চাকরিজীবী হলে)।
  • কর্তৃপক্ষের প্রত্যায়ন বা সুপারিশ লাগবে যদি আপনি চাকরিজীবী হন।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে

সাধারণভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডে সংশোধন করতে কতদিন লাগতে পারে তা নির্ভর করে সংশোধনের ধরনের ওপর। আমরা অনেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও কোন ধরনের রেসপন্স পাচ্ছি না। যার ফলে অনেক জরুরী কাজগুলো সঠিক সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না। 

কেন এ ধরনের সমস্যা হয় জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন লাগতে পারে এই বিষয়ে আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সর্বোচ্চ সাত দিন থেকে ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে। তবে এখানে চার ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে। 

প্রথমেই “ক” ক্যাটাগরি সংশোধনী আবেদন ৭ দিন, এরপরে “খ” ক্যাটাগরি সংশোধনে আবেদন ১৫দিন, তারপরে “গ” ক্যাটাগরি সংশোধন এই আবেদন তিরিশ দিন এবং সর্বশেষ “ঘ” ক্যাটাগরির সংশোধনে আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এখানে তিন বলতে একটি কার্য দিবস কে বোঝানো হয়েছে। 

যেহেতু অফিশিয়াল ভাবে নির্বাচন অফিস থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও সাধারণভাবে এটি তিন থেকে চার দিন আগে বা পরে হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তাহলে আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে, আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কতদিন সময় লাগতে পারে সেই বিষয়ে। আর এই সময়টি আপনার সমস্যার অপর নির্ভর করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধনটি করা হয়ে থাকে।

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন

আমরা সকলেই একদিন না একদিন নতুন ভোটার হয়ে থাকি। কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে দেখতে পাই যে আপনার এনআইডি কার্ডে বিভিন্ন ধরনের ভুল রয়েছে। যার ফলে আমরা অনেকেই হতাশার মধ্যে পড়ে যাই। তবে এতে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা চাইলেই সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই অনলাইনে আবেদন করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারেন।
অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন
আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা জানতে পারবেন যে কিভাবে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধন করা যায় সেই বিষয় সম্পর্কে। নিচে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • প্রথমত আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটে (https://www.nidw.gov.bd/) যেতে হবে।
  • পরবর্তীতে আপনাদের এই ওয়েবসাইটের হোমপেজে ”সংশোধন” বা ”এনআইডি সংশোধন” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্রমটি পূরণ করতে হবে।
  • অতঃপর আপনি আপনার এনআইডি কার্ডে কি সংশোধন করতে চান তা সঠিকভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে।
  • সংশোধনের জন্য প্রয়োজন হলে প্রমাণপত্র সহ ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।
  • অতঃপর শব্দ সঠিক হলে আপনারা ফরমটি সাবমিট করবেন।
  • সবশেষে সংশোধনের আবেদন পত্রটি পরবর্তী অবস্থান জানার জন্য নিয়মিত ওয়েবসাইটে চেক করতে পারবেন।
উক্ত কাজের মধ্যে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে আপনারা আপনাদের পার্শ্ববর্তী নির্বাচন কমিশনের কাছে যে যোগাযোগ করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করতে পারবেন এই বিষয়ে সহ আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উক্ত বিষয়গুলো জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। আজকেরে আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই এটি আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

এতক্ষণ ধরে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের বাংলা টিকে লিখে পাবলিশ করে থাকি। এজন্য আপনারা চাইলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url