সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আপনি হয়তো অনেক ওয়েবসাইট ঘুরে এই সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাচ্ছেন না। তবে আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সেভ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ কি এবং এই সম্পর্কিত আরও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ.
আজকে আর্টিকেলটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হবে সেহেতু আপনারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন এবং জেনে নিন সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে।

শিশুদের সেফ ৩ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণভাবে শিশুদের সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল না খাওয়া নয় উচিত হবে। আপনারা চাইলে ৬ মাস এর বেশি শিশুদের জন্য সেফ ৩ সিরাপ খাওয়াতে পারেন। আপনাদের যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে ছয় মাস থেকে এক বছরের শিশুদেরকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ 75 মিলিগ্রাম খাওয়ানো যেতে পারে। আর এক থেকে চার বছরের শিশুদেরকে সর্বোচ্চ ১০০ মিলিগ্রাম খাওয়ানো যাবে। 

১২ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম এক থেকে দুইটি ক্যাপসুল মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে। এক থেকে চার বছরের শিশুদের ১০০ মিলিগ্রাম সেবন করা যেতে পারে। আর পাঁচ থেকে দশ বছরের শিশুদের ২০০ মিলিগ্রাম। আর 11 থেকে 12 বছরের শিশুদের জন্য ৩০০ মিলিগ্রাম ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। তবে এই ওষুধটি ছয় মাসের নিচে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

সেফ ৩ সিরাপ এর কাজ কি

সেফ ৩ সিরাপ একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা সাধারণত বাচ্চাদের বিভিন্ন সংক্রমণ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি প্রধানত ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশ কার্যকরী। আর এই সিরাপটি মূলত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে অনেকের ক্ষেত্রেও সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। 

সাধারণত বাচ্চাদের পক্ষে ঔষধ খাওয়ানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যায় তার জন্য তাদের ট্যাবলেটের পরিবর্তে সিরাপ খাওয়ানো হয়ে থাকে। তবে শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্যই তৈরি হয় সিরাপ এমন না সেফ ৩ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, সেফ ৩ সিরাপ এর কাজ কি এই সম্পর্কে। নিচের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • সেফ ৩ সিরাপ অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি ঔষধ যা জীবাণুগুচ্ছ এর দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ সমূহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশ কার্যকরী একটি শিরা।
  • এই সিরাপটি অতি জটিল গনোরিয়া নামক রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে।
  • সেফ ৩ সিরাপটি অতি জটিল মূত্রনালী সংক্রমণ জনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে থাকে।
  • এই সিরাপটি মূলত একটি সেমিসিন্থেটিক এন্টিবায়োটিক ঔষধ যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে।
  • এই সিরাপটি আমাদের শাসনতন্ত্রের সংক্রমণ সাইনাসাইটিস বা পনমোনিয়া নামক রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে।

সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ

সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল টি সাধারণত সেফিক্সিম একটি তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন জাতীয় এবং মুখে সেবনযোগ্য সেমিসিনথেটিক এন্টিবায়োটিক ঔষধ। সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল প্রধানত ব্যাকটেরিয়া সংঘটিত সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
সেফ ৩ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • ঊর্ধ্ব ও নিম্ন শাসনতন্ত্রের সংক্রমণ
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ
  • গননাকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস
  • একিউট ওটাইটিস মিডিয়া
  • ওটিটিস মিডিয়া
  • স্ট্রেপ থ্রোট
  • নিউমোনিয়া
  • গনোরিয়া
  • লাইম রোগ ইত্যাদি
এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এই ক্যাপসুলটি আমাদের শরীরে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী রোগ জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। ঋত্বীব্র ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যেমন কানের সংক্রমনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয় বুকে এবং গলা সংক্রমণ এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি কার্যকারক অণজিবগুলো নির্মূল করে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

সেফ ৩ ক্যাপসুল কেন খায়

সেফ ৩ ক্যাপসুল টি হল একটি জনপ্রিয় ওষুধ যা প্রধানত সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর আমরা অনেকেই জানিনা যে এই ক্যাপসুলটি আমাদের কি কাজে আসে বা আমরা কি জন্য এটি খেয়ে থাকি? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য যাদের এই সম্পর্কে কোনরকম তথ্য জানা নেই। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সেফ ৩ ক্যাপসুলটি আমরা কেন খাই সেই সম্পর্কে।

সেফ ৩ ক্যাপসুলটির প্রধান উপাদান হলো সেফালোস্পোরিন যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই ক্যাপসুলটি সাধারণত চিকিৎসক দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং এটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে যেমন স্বাসতন্ত্র, মূত্রনালী, ত্বক এবং অন্যান্য অঙ্গের সংক্রমনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

আর সেভ ৩ ক্যাপসুলটি গ্রহণের প্রধান কারণ হলো এর কার্যকারিতা। কারণ এটি দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যার ফলে রোগীর অবস্থা দ্রুত উন্নতি করতে সাহায্য করে থাকে। এই ক্যাপসুলটি খাওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে এটি রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। 

এছাড়াও সেফ তিন ক্যাপসুল টি সঠিক ডোজে গ্রহণ করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম দেখা দেয়। তবে এটি সব ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর নয়, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি আমাদের ব্যবহার করা উচিত।

সেফ ৩ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতিটি ঔষধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর পৃথিবীতে এমন কোন ঔষধ নেই যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ সকল ধরনের ঔষধেরই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তফাৎ শুধু এতোটুকুই চেয়ে কোন ওষুধের ক্ষেত্রে সেটা কিছুটা বেশি কোন ওষুধের ক্ষেত্রে কিছুটা কম দেখা দেয়। সেফ ৩ ক্যাপসুল ও এর ব্যতিক্রম নয়। 

কারণ এই ক্যাপসুলটি সাধারণত এন্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যার ফলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সকলের মধ্যে একইভাবে প্রকাশ পায় না। নিচে সে তিন ক্যাপসুলের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
অনেকেই সেফ ৩ সেবনের ফলে পেটের ব্যথা ভোগতে পারেন।
  • এই ঔষধটি খাওয়ার ফলে আপনাদের বমি বমি ভাব ও দেখা দিতে পারে।
  • কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আর এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে ডায়রিয়ার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
  • কিছু মানুষের সাধারণ দুর্বলতা বা অসুস্থতার অনুভূতি দেখা দিতে পারে।
  • কখনো কখনো এই ওষুধটি সেবনের ফলে রোগীর জন্ডিস ও হয়ে যেতে পারে।
  • মাঝেমধ্যে আপনাদের এই ওষুধটি খবর ফলে মাথা ঘোরার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • কেউ কেউ আবার এই ওষুধটি সেবনের ফলে অনিদ্রায় ভুগতে পারেন।
  • লিভার সংক্রমনের সমস্যা যেমন ইঞ্জাইমের স্তরের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
  • এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে আপনাদের জিভের স্বাদ এর পরিবর্তন ঘটতে পারে।
  • এই ওষুধটি খাওয়ার ফলে আপনাদের এলার্জির মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
  • খাওয়ার প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে এই ঔষধটি সেবন করার ফলে।
তবে এই সমস্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো খুব অল্প পরিমাণে দেখা যায়। আর ঔষধ সেবন বন্ধ করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো স্বাভাবিক হয়ে যায়। আর তাছাড়াও আপনাদের এই ঔষধটি খাওয়ার ফলে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

সেফ ৩ ক্যাপসুল টি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা মূলত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটিেড ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট বিভিন্ন ধরনের সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে। আর এজন্যই সেফ ৩ ক্যাপসুলটি গ্রহণের কিছু নিয়ম অনুসরণ করা অতীব জরুরী। কারণ এটি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এটি আপনাদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে ব্যাকটেরিয়া সংগঠিত সংক্রমণরোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য ২০০ মিলিগ্রাম করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইবার এই ক্যাপসুলটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এটির সংক্রমণের তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কিছু বিশেষ রোগীদের জন্য এর ব্যতিক্রম করতে পারে। 

কারণ যে রোগীদের সমস্যা বেড়েছে তাদের জন্য প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম করে সর্বোচ্চ দুইবার সেবন করা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বা আমরা সেবন করতে পারি। সাধারণত সেফ ৩ ক্যাপসুল এর ডোজ ২৪ ঘন্টায় এক থেকে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও সংক্রমনের প্রভাব এর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। 

আর এক্ষেত্রে কখনো ডোজ বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। আর এই ক্যাপসুলটি সাধারণত খাবার খাওয়ার পরে সেবন করা উত্তম হবে। এর ফলে পেটের মধ্যে কোন ধরনের অসস্তিকর প্রভাব দেখা যাবে না। আর রোগীর তীব্রতা কম হলে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইটি করে সেফ ৩ ২০০ এমজি ক্যাপসুল সকালে এবং রাত্রে খাওয়া যেতে পারে। 

আর রোগীর তীব্রতা খুব বেশি হলে সেফ ৩ ৪০০ এমজি বা সেফ ৩ ডিএস প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুটি করে সকালে এবং রাত্রে খাবার খাওয়ার পরে খাওয়া যেতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আমরা এতক্ষণ ধরে শিশুদের সেফ ৩ খাওয়ার নিয়ম, সেফ ৩ সিরাপ এর কাজ কি, সেফ ৩ ডিএস ক্যাপসুল এর কাজ, সেফ ৩ ক্যাপসুল কেন খায়, সেফ ৩ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সেফ ৩ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করলাম। আপনারা সেফ ৩ ক্যাপসুলটি সেবনের পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর এই ধরনের আরো নিত্যনতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। কারণ আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা আটিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url