পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার উপায় নিয়ে আলোচনা।
পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার উপায় এই সম্পর্কে হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা নেই। আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা প্রথম আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার উপায় সম্পর্কে জানেন না। আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন।
আজকের এই আমরা পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার উপায় সহ আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। এজন্য আপনারা এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন। তা না হলে আপনারা এখানে থাকা বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অজানা থেকে যাবে।
NID কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
অনেক সময় দেখা যায় যে, আমাদের এনআইডি কার্ড এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকার তথ্য ভুল দেওয়া থাকে। NID কার্ডের তথ্য কোন প্রকার ভুল থাকলে তা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার মাধ্যমে সঠিক করে নেওয়া যায়। আর এনআইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে জানা আমাদের অতীব জরুরী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক NID কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে।
প্রথমত জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID কার্ড সংশোধন করার জন্য মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ভিজিট করুন services.nidw.gov.bd এই সরকারি ওয়েবসাইটে। এই সাইটে প্রবেশ করার পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ব্যবহার করে একাউন্ট রেজিস্টার করুন। মোবাইল নাম্বার যাচাই এবং ফেস ভেরিফিকেশন করে nid website ড্যাশবোর্ড থেকে এডিট প্রোফাইলে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করে নিন।
সবশেষে আপনারা সংশোধন ফি জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন জমা দিন। আর অবশ্যই NID কার্ড সংশোধন আবেদন জমা দেওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে যাতে সেখানে চাওয়া সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড করতে হবে। আপনার ভোটার আবেদনে যে তথ্য পরিবর্তন করতে চান তার সত্যতা প্রমাণ করতে সত্যায়িত কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
এভাবেই আপনাদের আবেদন করা তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে আপনারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার এনআইডি কার্ড টি সংশোধন হয়ে যাবে।
কিভাবে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করব?
আপনারা যদি বাংলাদেশের এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে এটি ডাউনলোড করতে পারেন। তবে এটি শুধুমাত্র আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র যদি ডিজিটাল সিস্টেম এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে তাহলে তখনই সেটি সম্ভব হবে। নিচে কিভাবে nid card ডাউনলোড করতে হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলোঃ
- প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সিস্টেমের ওয়েবসাইটে যেতে হবে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর লগইন অপশন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর এবং পিন কোড দিয়ে লগইন করুন।
- লগইন করার পর আপনার ডিজিটাল জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদর্শিত হবে এবং সেখানে আপনি Download e-NID অপশন দেখতে পারবেন।
- এই অপশনে ক্লিক করলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ডিজিটাল কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার এনআইডি কার্ড টি ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়াও যদিক কোন কারণে যদি আপনি লগইন করতে না পারেন বা এন আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তাহলে আপনার নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে গিয়ে সহায়তা নিতে পারেন।
পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার উপায়
আপনারা বাংলাদেশের পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে (NID) যদি আপনি স্মার্ট কার্ড এর নম্বর দেখতে চান, তাহলে এটি সাধারণত সরাসরি সম্ভব হয় না। কারণ প্রথম আইডি কার্ডে স্মার্ট কার্ডের নাম্বার থাকে না। এই পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড এর নাম্বার দেখার জন্য আপনাদের কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে যার মাধ্যমে আপনারা স্মার্ট কার্ডের নাম্বারটি দেখতে পারবেন। নিচে কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
পুরাতন আইডি কার্ড থেকে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে প্রথম আইডি কার্ড থেকে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখা যাবে। এজন্য আপনাদের প্রথমে মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে SC<space>NID<space>NID Number। যেমনঃ SC NID 1234569874521। তারপর 105 নাম্বারে মেসেজটি পাঠিয়ে দিন।
এরপর আপনাকে একটি এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস জানানো হবে। তাছাড়াও আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধিত নাম্বার বা জন্ম তারিখ দিয়ে লগইন করে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ডের নম্বর দেখতে পারবেন।
আইডি কার্ডের বয়স কত বছর কমানো যায়?
সাধারণত আইডি কার্ডে বয়স কমানোর আইনি বা বৈধ কোন পদ্ধতি নেই। যে জন্মতারিখ অনুযায়ী আপনার বয়স নির্ধারিত করা হয়েছে, তা পরিবর্তন করা আইনত অসম্ভব। বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র বা অন্য কোন আইডি কার্ডের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ ও বয়স সঠিক ভাবে দেওয়া উচিত।
যদি আপনার জন্ম তারিখে কোন ভুল হয়ে থাকে বা কোন সংশোধনীয় দরকার হয়, তবে আপনারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা সংশোধন করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি সরবরাহ করতে হবে।
এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় কি?
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বা অসতর্কতার কারণে আমাদের এনআইডি কার্ডটি হারিয়ে যেতে পারে। আর তখন আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। তবে এর জন্য আমাদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই, আপনারা চাইলেই আপনাদের হারিয়ে যাওয়া এনআইডি কার্ডটি আবার ফেরত পাবেন। আপনারা নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করে আপনাদের হারিয়ে যাওয়া এনআইডি কার্ড ফেরত পেতে পারেন।
- পুলিশ রিপোর্ট করুন: প্রথমত আপনার এনআইডি কার্ড টি হারানোর বিষয়ে নিকট্য থানায় একটি জিডি করুন। এরপর জিডির কপি আপলোড করে অনলাইনে রিসু আবেদন করতে হবে। আবেদন অনুমোদন হওয়ার পরেই অনলাইন থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র টি ডাউনলোড করতে পারবেন।
- ই সেবা পোর্টালে আবেদন করুন: বাংলাদেশে এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে আপনারা অনলাইনে পুনরায় একটি আইডি কার্ড আবেদন করতে পারেন। এজন্য আপনাদের ই-সেবা পোর্টালে লগইন করে এনআইডি কার্ড হারানোর আবেদন অপশনটি নির্বাচন করে, হারানো এনআইডির বিস্তারিত তথ্য দিন এবং পুলিশ রিপোর্টের কপি আপলোড করুন।
এইভাবে আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে আপনার তথ্য যাচাই করবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করবে। আবেদন এবং যাচাই প্রক্রিয়া সফল হলে আপনাকে নতুন একটি এনআইডি কার্ড প্রদান করা হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা পুরাতন আইডি কার্ড দিয়ে স্মার্ট কার্ড নাম্বার দেখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও আমরা এখানে এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় কি, আইডি কার্ডের বয়সসীমা কত বছর কমানো যায়, কিভাবে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করব, এন আই ডি কাড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এ ধরনের আরো নিত্যনত্ব আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। কারণ আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা টিকেট লিখে পাবলিশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url