ফেনাট সিরাপ 100 মিলি এর কাজ - ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম। আপডেট তথ্য

ফেনাট সিরাপ 100 মিলি এর কাজ - ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা আজকে আলোচনা করব। এই সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেক ওয়েবসাইট খুঁজেছেন, কিন্তু আপনি নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করতে যাচ্ছি ফেনাট সিরাপ 100 মিলি এর কাজ, ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
সাথে আমরা আরো আলোচনা করতে যাচ্ছি ফেনাট সিরাপ এর দাম এবং ফেনাট সিরাপের সাথে সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। এজন্য আপনারা সেই সকল বিষয় জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলে। সুতরাং আপনারা আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।

ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

ফেনাট সিরাপটি মূলত কাশি বা হাঁপানি রোগের আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সেবন করতে বলেন ডাক্তাররা। তবে এই ঔষধটি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে, যা মেনে খেলে এই ওষুধটি দ্রুত ফলাফল দিতে সক্ষমতা রাখে। এজন্য আপনাদের এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী। নিচে ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • পূর্ণবয়স্কদের জন্য: সাধারণভাবে ১ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার খাবারের সাথে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে একসাথে ২ মি.গ্রা, দিনে ২ বার সেবন করা যাবে।
  • তিন বছরের অধিক শিশুদের জন্য: ১ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার খাবারের সাথে খেতে হবে। খুব বেশি পরিমাণে ঘুম পেলে কয়েকদিন চিকিৎসা শুরুর প্রথম দিকে রাতের বেলা খাবারের সাথে ০.৫ থেকে ১ মি.গ্রা. কিটোটিফেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
  • বার্ধক্য:পূর্ণবয়স্কদের জন্য একই মাত্রা বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

ফেনাট সিরাপ 100 মি.লি. এর কাজ

ফেনাট সিরাপ 100 মিলি এর কাজ
ফেনাট সিরাপ 100 মি.লি. এর কাজ সম্পর্কে আমরা এখন জানব। ফেনাট সিরাপ সাধারণত কাশি বা হাঁপানি জাতীয় যে ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো প্রতিকারে ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ঔষধটি বিভিন্ন ধরনের চুলকানি বা এলার্জি অবস্থা যেমন রাইনাইটিস এবং কনজাংটিভাইটিস-এর লক্ষণযুক্ত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

তাছাড়াও হিস্টামিন এর কারনে আমাদের যে কাশি বা হাঁপানির সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে সেই সকল সমস্যা দূর করতে ফেনাট সিরাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ফেনাট সিরাপ এর কাজ কি

ফেনাট সিরাপটি মূলত কিটোটিফেন ফিউমারেট গ্রুপের একটি ঔষধ। এই ঔষধের মূল কাজ হচ্ছে হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, এলার্জি এবং এলার্জিক রাইনাইটিস এর উপসর্গ গুলোর চিকিৎসায় এবং প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাছাড়াও এই ঔষধটির মধ্যে রয়েছে কিটোটিফেন যার মধ্যে অ্যান্টি অ্যালার্জির গুণাবলী রয়েছে। এজন্য এই ওষুধটি হাঁপানি রোগের প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কিটোটিফেন প্রধানত আমাদের শরীরে হিস্টামিন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, যা হাঁপানি রোগের জন্য প্রধান ভাবে দায়ী। তাছাড়াও এটি আমাদের শরীরে লিউকোট্রিন ও ফসফো-ডায়েস্টারেজ এনজাইম থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করতেও সহায়তা করে। ফেনাটটি ব্যথা এবং স্পর্শ অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি উপসর্গ উপশমে এবং এলার্জি যেমন হে-ফিভার, আর্টিকারিয়ার লক্ষণযুক্ত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ফেনাট সিরাপ এর উপকারিতা

এতক্ষণ ধরে আপনারা ফেনাট সিরাপ এর কাজ এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই পর্বে আমরা ফেনাট সিরাপ এর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। ফেনাট শিরাপটি সাধারণত এলার্জি, ঠান্ডা জনিত এবং হাঁপানির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর কিছু সাধারণ উপকারিতা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • ফেনাট সিরাপ হিস্টামিন ব্লকার হিসেবে কাজ করে যার ফলে এটি আমাদের এলার্জির কারণে হওয়া হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ চুলকানির মত সমস্যা সমাধান করে।
  • এলার্জি বা ঠান্ডার কারণে হওয়া গলা ব্যথা বা অসস্তি উপশমে কাজ করে।
  • এর মধ্যে থাকা কিটোটিফেন উপাদানটি আমাদের হাঁপানির আক্রমণের সংখ্যা, তীব্রতা এবং স্থায়িত্ব কমিয়ে আনে।

ফেনাট সিরাপ এর দাম কত

বর্তমানে আমাদের দেশে ফেনাট সিরাপ এর ১০০ মিলি বোতল ৬৫ টাকা এবং ২০০ মিলির বোতল ৮০ টাকা করে। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন সময় দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে অধিকাংশ সময়েই আপনারা এর প্রতিটি ১০০ এম এল সিরাপ এর মূল্য ৬৫ টাকা এবং প্রতিটি ২০০ এমএল সিরাপ এর মূল্য ৮০ টাকা করে পেয়ে যাবেন।

ফেনাট সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রত্যেকটি ঔষধেরই যেমন গুণ রয়েছে এবং এগুলো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। তেমনি প্রত্যেকটি ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে পার্থক্য শুধু এতোটুকুই যে কোন ঔষধের ক্ষেত্রে কিছুটা কম এবং কোন ওষুধের ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি। ফেনাট সিরাপ ঔষধ দিও এর বাইরে নয়। এই ঔষধটি যেমন আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে।
ফেনাট সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
তেমনি এই ওষুধটির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী। এই ঔষধ খাওয়ার ফলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
  • ওজন বৃদ্ধি
  • তন্দ্রাচ্ছন্ন
  • অস্থিরতা
  • মুখ শুষ্কতা
  • মাথা ঘোরা
  • নাক দিয়ে রক্ত পড়া
  • ঘুম ঘুম ভাব

মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ফেনাট সিরাপ 100 মিলি এর কাজ - ফেনাট সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেও বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আমরা ফেনাট সিরাপ নিয়ে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যেগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

এতক্ষণ ধরে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। আপনাদের কোন মন্তব্য থেকে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url