এন্টাসিড প্লাস সিরাপ ইন প্রেগন্যান্সি ও এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ ইন প্রেগন্যান্সি ও এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আপনারা হয়তো এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খুঁজে দেখেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে হয়তো সঠিক কোন তথ্য পাচ্ছেন না, তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছিএন্টাসিড প্লাস সিরাপ ইন প্রেগন্যান্সি ও এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। এজন্য আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেল শুরু করা যাক।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

এই পড়বে আমরা এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ সাসপেনশন আকারেও পাওয়া যায়। এই সিরাপটি মূলত আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড কমিয়ে এসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। এই সিরাপটি মূলত ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়। এজন্য আমাদের এই সিরাপটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সবারই জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে খাবার খাওয়ার পরে ১ - ৩ ঘন্টা পরে এই সিরাপটি ১ - ২ চামচ খেতে হবে। আবার এটি ঘুমানোর পূর্বে ১ - ২ চামচ সেবন করে ঘুমাতে হবে। কিন্তু যে সকল রোগীদের হাইপোফসফেটেমিয়া আছে তাদের জন্য এটি সেবন করা যাবে না। এই ঔষধটির মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড রয়েছে সেহেতু গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এই সিরাপটি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ ইন প্রেগন্যান্সি

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ মূলত পেটের এসিডিটি, গ্যাস্ট্রাইটিস এবং হজমের সমস্যা মোকাবেলা করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর প্রেগনেন্সি চলাকালীন সময়ে মহিলাদের পেটের এসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যাগুলো একটি সাধারণ সমস্যা। এ সমস্যাটি সবারই হয়ে থাকে বা দেখা দিয়ে থাকে। তবে প্রেগনেন্সি চলাকালীন যেকোনো ধরনের ঔষধ গ্রহণের আগে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তার কারণ কিছু ঔষধ গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
এন্টাসিড প্লাস সিরাপ ইন প্রেগন্যান্সি
অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ এর উপাদানগুলো সাধারণত গ্যাস্ট্রিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে পেটের অস্বস্তি উপশমে সহায়তা করে। তবে প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মধ্যে রয়েছে কিছু উপাদান যেমন অ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম যা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং এসব উপাদানের প্রভাব গর্ভাবস্থায় ভিন্ন হতে পারে।

তাই বলা যায় যে, সার্বিকভাবে গর্ভাবস্থায় অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ ব্যবহার করা সম্ভব হলেও, এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করায় উত্তম হবে। আর গর্ভাবস্থায় প্রাকৃতিক উপায়ে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের মাধ্যমে এসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর কাজ কি

অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ ঔষধ ডিম মূলত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি মূলত হাইপার এসইডিটি, পেপটিক আলসার, পাকস্থলী প্রদাহ, বুক জ্বালা এবং বদহজম এর মত সমস্যার সমাধানে সেবন করা হয়ে থাকে। এই সিরাপটি সাধারণ দুটি প্রধান উপাদান দিয়ে তৈরি হয় সেগুলো হলো এন্টাসিড এবং অ্যান্টিফ্ল্যাটুলেন্ট। 

অ্যান্টাসেড প্লাস সিরাপের প্রধান কাজ হল পাকস্থলীর এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা কমিয়ে গ্যাস্ট্রিক এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি পেটের গ্যাস ও অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে থাকে। এর মধ্যে থাকা কিছু উপাদান আমাদের পেট ফাঁপা ভাব বা অস্বস্তিকর দূর করতে সাহায্য করে থাকে। 

যার ফলে পেট ও অন্ত্রের মধ্যে যে অতিরিক্ত গ্যাস জমে থাকে তা নির্গত হয়। তাছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানে একটি কার্যকরী চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা এখন জানবো। আপনারা ইতিপূর্বেই এন্টাসের প্লাস সিরাপ এর কাজ কি এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আপনারা এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন। অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ সাধারণত এসিডিটি, গ্যাস, বদহজম এবং অন্যান্য পেট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

তবে আপনারা অনেকেই এর আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানা নেই। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা আজকে এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর কিছু প্রধান উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। নিচে সেই সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
  • এই সিরাপটি প্রধানত আমাদের পেটের অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদন কমায়ে এবং পেটের অসস্তি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • অপারেটিভ গ্যাসের কারণে যে পেট ব্যথা হয় সেটি কমাতে সাহায্য করে থাকে এই অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ।
  • এটি জিআই রক্তপাত রোধ করতেও সাহায্য করে থাকে।
  • পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • এটি ডিসপেপসিয়া বা বদহজম এর সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে।
  • এটি তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর দাম কত

এন্টাসিড প্লাস সিরাপটি হল ওরাল সাসপেনশন গ্রুপের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল পি এল সি কোম্পানির ঔষধ। এই সিরাপটির মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর উপাদান যা আমাদের পেটের মধ্যে কার এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। এন্টাসিড প্লাস সিরাপের দাম বিভিন্ন ফার্মেসী এবং বিভিন্ন এলাকার ওপর নির্ভরশীল। তবে এই সিরাপটির ২০০ মিলির বোতল ৯০ টাকা করে। তবে বিভিন্ন দোকানে এবং বিভিন্ন এলাকায় এর দাম কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এই পর্বে আমরা আলোচনা করব। এন্টাসিড প্লাস সিরাপ সাধারণত আমাদের পেটের মধ্যকার অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু প্রত্যেকটি ঔষধের মতোই এটিরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী। এই সিরাপটি খাওয়ার ফলে কিছু সাধারন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। নিচে সেই সকল পার্শপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • এই ঔষধটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে এলকালইউরিয়া এবং নেফ্রোলিথিয়াসিস হতে পারে।
  • এটি ব্যবহারের ফলে মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা হতে পারে
  • বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে
  • এই সিরাপটি ব্যবহারের ফলে মুখে অস্বাভাবিক স্বাদ অনুভূত হতে পারে।
  • কিছু কিছু মানুষের এই সিরাপটি সেবনের ফলে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হতে পারে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এন্টাসিড প্লাস সিরাপ ইন প্রেগন্যান্সি ও এন্টাসিড প্লাস সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়াও এইখানে আপনারা এন্টাসিড প্লাস সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

আর এ ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের সাপোর্ট করুন এবং আমাদের এই ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। কারন আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা লিখে লিখে পাবলিশ করে থাকে। এতক্ষণ ধরে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url