এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া-এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়।
এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া-এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় এই বিষয়ে আজকে আমরা জানব। আপনারা হয়তো বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন স্থানে খুঁজে দেখেছেন, কিন্তু এ বিষয়ে হয়তো সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া-এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় এই সম্পর্কে।
তাছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এজন্য সে সকল বিষয়ে জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনারা সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
এন্টাসিড ট্যাবলেট এর কাজ কি
অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট টি হল অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর সংমিশ্রণে তৈরি একটি ঔষধ। এই ঔষধটি সাধারণত পাকস্থলী বা অন্তরে ঘা, পাকস্থলীর প্রদাহ, বুক জ্বালা এবং বদহজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এই ঔষধটি গ্যাস্টিক এসিডের কার্যকলাপে কমাতে সাহায্য করে, ফলে পেটে বর্ণিত সমস্যা গুলো যেমন বুক জ্বালা, গেছে সৃষ্টি এ সকল সমস্যা থেকে দ্রুত আরাম পেতে সাহায্য করে।
এর মধ্যে থাকা অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এসিডের প্রভাব কে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং পেটের মধ্যে এসিডের পরিমাণ কমায়। এটি গ্যাস্ট্রিক সিক্রেশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটে অতিরিক্ত এসিডের কারণে সৃষ্টি হওয়া পেন বা অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে। অপরদিকে এর মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড পেটের এসিডকে পরিষ্কার করতে পারে। যার ফলে পেটের মধ্যে সৃষ্টিকৃত অতিরিক্ত গ্যাস কমে যায়।
এন্টাসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা
এন্টাসিড ট্যাবলেটটি হলো এক ধরনের ঔষধ যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অম্লকে প্রশমন করে এবং এটি সাধারণত বুক জ্বালা ও বদ হজম রোধে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাছাড়াও এই ঔষধটির আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে যে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এন্টাসিড এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার ফলে এটি আমাদের পেটের অতিরিক্ত এসিড কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি গ্যাস ট্রাইটিস বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা সমাধানে কাজ করে থাকে।
- এন্টাসিড পেটের অতিরিক্ত গ্যাস এবং পেট ফোলা কমাতে সাহায্য করে, যা পেটের অস্বস্তিকর বা ব্যথা হ্রাস করে থাকে।
- তাছাড়াও এই ঔষধটি কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- এন্টাসিড খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর প্রভাব কমিয়ে পেটের আঘাত থেকে রক্ষা করে থাকে।
এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এন্টাসিড প্লাস ঔষধটি সাধারণত এসিডিটি কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ঔষধটি আমাদের শরীরে এসিডিটির লক্ষণ গুলি উপশম করতে সাহায্য করে থাকে। তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আর আপনারা সকলেই জানেন যে, প্রত্যেকটি ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে থাকে।
এন্টাসিড প্লাস ট্যাবলেট এর বাইরে হয়। তবে আমাদের এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো সম্পর্কে জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী। এজন্য এন্টাসিড প্লাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে বা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তুলে ধরা হলো:
- বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে
- মাথা ব্যথা হতে পারে
- ক্ষুধা মন্দা হতে পারে
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভূতি হতে পারে
- পেশী দুর্বলতা হতে পারে
এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও এর কিছু গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। যদি আপনার এ ধরনের কোন গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
এন্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
আপনারা এন্টাসিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এখন আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি অ্যান্টাসিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। প্রত্যেকটি ওষুধ খাওয়ারই কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে, যা মেনে খাওয়ার ফলে সেই ঔষধটি আমাদের শরীরে দ্রুত কাজ করে এবং রোগ বালাই থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
এন্টাসিড খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে যেটি সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তুলে ধরা হলো:
- এন্টাসিড ট্যাবলেট সাধারণত খাবার খাওয়ার এক থেকে তিন ঘন্টা পর খাওয়া উচিত।
- এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার পরে পরিমাণ মতো পানি পান করা অত্যন্ত জরুরী।
- আপনারা চাইলে এই ট্যাবলেটটি রাত্রে শোবার সময়ও খেয়ে ঘুমাতে পারেন।
এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়
এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয়? এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। ইতিপূর্বেই আপনারা এন্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই ঔষধটি কি চুষে খাওয়া যায়। তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের এ বিষয়ে সঠিক তথ্য এবং ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন এবার এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট সাধারণত পেটের অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ঔষধটি সাধারণত গ্যাস্ট্রিক বা এসিড রিফ্লেক্সের উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে থাকে। তবে কিছু এন্টাসিড ট্যাবলেট রয়েছে যেগুলো চুষে খেতে হয়। যার ফলে ট্যাবলেট গুলো দ্রবীভূত হয়ে দ্রুত কাজ করতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিক এসিডের কার্যকারিতা কমাতে সাহায্য করে।
যদি ডাক্তাররা আপনাকে এন্টাসিড চুষে খেতে বলে তবে এটি সরাসরি মুখে দ্রবীভূত হয়ে পেটের মধ্যে এবং দ্রুত ফলাফল প্রদান করে থাকে। আর এই এন্টাসিড ট্যাবলেটটি চুষে খাওয়ার সুবিধা হলো এটি দ্রুত কার্যকারিতা এবং তাৎক্ষণিক আরাম দিতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও এন্টাসিড চুষে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ অনেকেরই এটি চুষে খাওয়ার ফলে কিছু স্বাস্থ্যকর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য বা শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এন্টাসিড প্লাস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া-এন্টাসিড ট্যাবলেট কি চুষে খেতে হয় এই বিষয় সম্পর্কে ভালো মত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এন্টাসিড ট্যাবলেট এর সম্পর্কে আরো বিভিন্ন ধরনের আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। আর এ ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন। কারণ আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url