সেকলো ২০ খাওয়ার নিয়ম - সেকলো ৪০ দাম কত। আপডেট তথ্য

সেকলো ২০ খাওয়ার নিয়ম - সেকলো ৪০ দাম কত এই সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। তাছাড়াও আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যেগুলো সম্পর্কে হয়তো বা আপনাদের অনেকেরই অজানা।
সেকলো ২০ খাওয়ার নিয়ম
এজন্য আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন। তা না হলে আপনারা উক্ত বিষয় গুলো নাও বুঝতে পারেন।

সেকলো ২০ খাওয়ার নিয়ম

সেকলো ক্যাপসুলটি মূলত অমিপ্রাজল গ্রুপের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল পিএলসি কোম্পানি দ্বারা তৈরিকৃত একটি ঔষধ। আর এই ঔষধটি মূলত গ্যাস্ট্রিক, গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসার এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

তবে আমাদের অনেকের এই ঔষধটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা নেই। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সেকলো ২০ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সেকলো ২০ খাওয়ার নিয়ম:
  • সাধারণত এই ঔষধটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একবার করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
  • কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এই ওষুধটি তাদের প্রতিদিন দুইবার করে সকালে এবং রাতে খালি পেটে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • এই ওষুধটি খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পূর্বে খেতে হবে।
  • এই ট্যাবলেটটি অবশ্যই পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে। কোনভাবেই এটিকে চিবিয়ে বা গুঁড়ো করে খাওয়া যাবে না।
  • এই ঔষধটি গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি রোগীদের জন্য ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত খেতে হবে।
  • এছাড়াও আলসার রোগীদের জন্য এই ওষুধটি ৪-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করতে হবে।

সেকলো ৪০ দাম কত

সেকলো ৪০ দাম কত
বর্তমানে আমাদের দেশে সেকলো ৪০ মি.গ্রা. ঔষধের মূল্য প্রতি পিচ ৯ টাকা করে। আর যেহেতু এর প্রতিটি পাতায় দশটি করে ঔষধ রয়েছে এই জন্য এর প্রতিটি পাতার মূল্য ৯০ টাকা করে। তবে এই ওষুধটির মূল্য বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন দোকানে কিছুটা কম বেশি হতে পারে। কিন্তু আপনারা এই ঔষধটি প্রতি পিচ ৯ টাকা করে এবং এর প্রতিটি পাতা ৯০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।

সেকলো ২০ এর কাজ কি

সেকলো ২০ ওষুধটি মূলত গ্যাস্ট্রিক সংক্রান্ত সমস্যা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ঔষধটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিক সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কাজ করে থাকে। নিচে এই ওষুধটির কাজ কি সেই সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
  • এই ঔষধটি গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসার এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • এটি পাকস্থলীতে এসিডের উৎপাদন কমিয়ে এসিডিটির সমস্যা ও বুক জ্বালাপোড়া কমিয়ে আনে।
  • এই ঔষধটি প্রতিস্থাপিত বেনজিমিডাজল জাতীয় ঔষধ, যেটি গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • এই ঔষধটি সেবনের পর অ্যাসিড নিঃসরণ বিরোধে কার্যক্রম এক ঘন্টার মধ্যে শুরু করে এবং এটি দুই ঘন্টার মধ্যেই সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত বিরাজ করে।

সেকলো ২০ কিসের ঔষধ

সেকলো ২০ ওষুধটি কিসের এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। সেকলো ঔষধটি মূলত ওমিপ্রাজল গ্রুপের একটি ঔষধ। যেটি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল পিএলসি কোম্পানির দ্বারা উৎপাদনকৃত একটি ঔষধ। 

সেকলো ক্যাপসুল টি সাধারণত প্রোটন পাম্প ইনভিটর গ্রুপের ঔষধ, যা আমাদের পাকস্থলীতে এসিড এর উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ঔষধটি নিম্নলিখিত উপসর্গে ব্যবহৃত হয়ে থাকে-
  • নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহবিরোধী ঔষধ ব্যবহারজনিত গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসার এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • গ্যাস্ট্রোইসােফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • মারাত্মক পরিমাণে রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস জনিত আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • এছাড়াও জলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রমে এর প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
  • হেলিকোব্যাকটার পাইলেরি জনিত পেপটিক আলসার নিরাময়ে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

সেকলো ৪০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এই পৃথিবীতে এমন কোন ঔষধ নেই যার কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। প্রত্যেকটি ঔষধেরই কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে। তফাৎ শুধু এতোটুকুই যে কিছু ঔষধের বেশি এবং কিছু ঔষধের কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেকলো ৪০ মি.গ্রা. ঔষধটিও এর বাইরে নয়।
সেকলো ৪০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এই ঔষধটিরও সাধারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো ক্ষণস্থায়ী। নিচে এর কিছু উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
  • বমি বমি ভাব
  • মাথাব্যথা
  • মাথা ঘোরা
  • পেট ব্যথা
  • ডায়রিয়া
এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও এব্ডোমিনাল কলিক ও প্যারেসথেসিয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এই সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো মৃদু এবং ক্ষণস্থায়ী। এই জন্য এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিলে এর মাত্রা বা ডোজ কমানোর প্রয়োজন নেই।

শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সেকলো ২০ খাওয়ার নিয়ম - সেকলো ৪০ দাম কত সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আমরা আজকের আর্টিকেলে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরেছি। যেগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

এ ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন এবং আমাদের সাপোর্ট করুন। কারণ আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ক্যাটাগরির বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url