ক্লাসিডো ৬২৫ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এর কাজ কি। আপডেট তথ্য

ক্লাসিডো ৬২৫ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এর কাজ কি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। আপনারা হয়তো এই বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরেও সঠিক কোন তথ্য পাননি। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পারবেন।
ক্লাসিডো ৬২৫ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এছাড়াও আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এই জন্য আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন।

ক্লাসিডো ৬২৫ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ক্লাসিডো ৬২৫ ঔষধটি গ্রহণের ফলে সাধারণভাবে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে যদিও কিছু পরিমাণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেই তাহলেও সেগুলো খুবই অল্প পরিমাণের বা মৃদু ধরনের হয়ে থাকে। আর এই সকল প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী।

এজন্য ক্লাসিডো ৬২৫ ঔষধটি সেবনের ফলে যে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেই সকল সম্পর্কে নিজে তুলে ধরা হলোঃ
  • ডায়রিয়া
  • সিউডোমেমব্রেনাস কোলাইটিস
  • ত্বকের ফুসকুড়ি
  • অনিদ্রা
  • মাথা ঘোরা
  • অপাচ্যতা
  • বমি বমি ভাব
  • ক্যানডিডিয়াল সংক্রমণ
এ সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও ক্লাসিডো ৬২৫ ওষুধটি সেবন করার ফলে কারো কারো জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হতে পারে। আর এই সকল পার্শপ্রতিক্রিয়া ক্ষণস্থায়ী। এই সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও যদি কারো বিরল প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ক্লাসিডো ৬২৫ এর কাজ কি

ক্লাসিডো ৬২৫ ঔষধটি হেলথ কেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড দ্বারা তৈরিকৃত একটি ঔষধ। যার প্রধান উপাদান এমোক্সিসিলিন ৫০০ মি.গ্রা. এবং ক্লাভুলানিক এসিড ১২৫ মি.গ্রা. দিয়ে তৈরি। এই ঔষধটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে স্বল্পমেয়াদি চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ক্লাসিডো ৬২৫ এর কাজ কি
এছাড়াও এর আরো কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। নিচে সেই সকল কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
  • এই ঔষধের মধ্যে থাকা অ্যামোক্সিসিলিন এবং ক্লাভুল্যানিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমিয়ানে এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
  • এটি একটি ব্রড-স্পেকট্রাম পেনিসিলিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক, যা ব্যাকটেরিয়ার কোষ কে ধ্বংস করে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে।
  • এটি একটি বিটা-ল্যাক্টামেজ ইনহিবিটর, যা ব্যাকটেরিয়াকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ হতে বাধা দেয় এবং এমোক্সিসিলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে থাকে।
  • এটি শ্বাসনালীর সংক্রমণ যেমন- টনসিলের প্রদাহ, মধ্য কর্ণের প্রদাহ ইত্যাদির সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে থাকে।
  • এর মধ্যে থাকা ক্লাভুলানিক এসিড এনজাইম এমোক্সিসিলিনকে ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করে, ফলে বিস্তৃত পরিধির জীবাণুর বিরুদ্ধে এমোক্সিসিলিনের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসী ক্ষমতা কার্যকর ভাবে বিস্তৃত হয়।

ক্লাসিডো ৬২৫ খাওয়ার ‍নিয়ম

ক্লাসিডো ৬২৫ ওষুধটি ট্যাবলেট, সাসপেনশন এবং ইনজেকশন হিসেবে পাওয়া যায়। আর এই তিনটি ঔষধ কয়েক নিয়মে খাওয়া হয়ে থাকে। এজন্য নিচে এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

ট্যাবলেট
  • সাধারণ সংক্রমনের জন্য প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর ১টি ৬২৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
  • তীব্র সংক্রমণ ও শ্বাসনালীর সংক্রমনের জন্য ১ টি ট্যাবলেট ১ গ্রাম করে প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর সেবন করতে হবে।
সাসপেনশন
  • ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য প্রতি আট ঘণ্টায় ২ চামচ সাসপেনশন খাওয়াতে হবে।
  • ১ থেকে ৬ বছরের শিশুদের জন্য প্রতি আট ঘণ্টায় এক চামচ সাসপেনশন হওয়াতে হবে।
  • ১ বছরের নিচে শিশুদের জন্য তাদের প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ২৫ মি.গ্রা. এমোক্সিসিলিন বিদ্যমান এমন পরিমাণ সাস্‌পেনশন সমবিভক্ত মাত্রায় প্রতি আট ঘণ্টা অন্তর সেবন করতে হবে।
ইঞ্জেকশন
  • প্রাপ্তবয়স্কদের সাধারণ সংক্রমণের জন্য প্রতি আট ঘণ্টা অন্তর ১.২ গ্রাম, তীব্র সংক্রমনের জন্য প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর ১.২ গ্রাম ইনজেকশন দিতে হবে।
  • শিশুদের জন্য শূন্য থেকে তিন মাস বয়সে শিশুর জন্য প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩০ মি.গ্রা. এমোক্সিসিলিন বিদ্যমান এমন পরিমাণ ইঞ্জেক্‌শন প্রতি ৮ ঘন্টা এবং ৩ মাস-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি কেজি ওজনের ক্ষেত্রে ৩০ মি.গ্রা. এমোক্সিসিলিন বিদ্যমান এমন পরিমাণ ইঞ্জেক্শন প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর দিতে হবে।

Clacido 625 এর দাম কত

বর্তমানে আমাদের দেশে Clacido 625 এর মূল্য প্রতি পিচ ৩২ টাকা করে। আর এর প্রতিটি পাতায় ৬ টি করে ঔষধ রয়েছে যার মূল্য ১৯২ টাকা করে। তবে বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন দোকানে এর মূল্য কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে আপনারা এই ওষুধটির প্রতি পিচ ৩২ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।

ক্লাসিডো ৬২৫ কিসের ঔষধ

ক্লাসিডো ৩২ ঔষধটি প্রধান উপাদান অ্যামোক্সিসিলিন এবং ক্ল্যাভুলনিক অ্যাসিড, যা অগমেন্টিন নামে পরিচিত একটি এন্টিবায়োটিক সংমিশন। যেটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ঔষধ এর সক্রিয় উপাদান হলো অ্যামোক্সিসিলিন যেটি একটি পেনিসিলিন থেকে টাইপ অ্যান্টিবায়োটিক।
ক্লাসিডো ৬২৫ কিসের ঔষধ
অপরদিকে ক্লাভুল্যানিক অ্যাসিড হলো একটি বিটা থেকে ল্যাক্তা ম্যাচ ইনভিটর যা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি নিম্নলিখিত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • শ্বাসনালীর উপরিভাগের সংক্রমণ এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • শ্বাসনালীর নিম্নভাগের সংক্রমণ তীব্র এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্রংকিয়াল প্রদাহ, লোবার এবং ব্রংকোনিউমোনিয়া এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • এছাড়াও এটি চর্ম ও নরম কলার সংক্রমণ এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • এটি মূত্র-যৌন নালীর সংক্রমণ এর চিকিৎসায় বিশেষভাবে কার্যকরী।
  • এছাড়াও এটি আমাদের শরীরে আরো বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ক্লাসিডো ৬২৫ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এর কাজ কি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আমরা এখানে আরও বিভিন্ন ধরনের বিষয় তুলে ধরেছি। যেগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

আর এ ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন। কারণ আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url