চিয়া সিড খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
চিয়া সিড খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। এই বিষয়ে আপনারা হয়তো বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে দেখেছেন, কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাচ্ছেন না।
তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা উক্ত বিষয়ে সহ আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। এজন্য আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন।
চিয়া সিড খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
চিয়া সিড হচ্ছে সুপার ফুড জাতীয় একটি খাবার। আর এই খাবারটি খাওয়ার প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। তাছাড়াও এই খাবারটির মধ্যে আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আপনাদের হয়তো অনেকেরই অজানা।
অনেক মানুষ নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য চিয়া সিডকে তাদের আদর্শ খাবার হিসেবে খেয়ে থাকেন। সেই সাথে এই খাবারটি খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আর আজকের এই আর্টিকেলে আমরা চিয়া সিড খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।
তাহলে চলুন এইবার চিয়া সিড খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। নিচে চিয়া সেট খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
উপকারিতা
- চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
- চিয়া সিড ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো মানের খাবার। কারণ এটি ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা করে।
- এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং এটি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে।
- চিয়া সিড খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরের পেশি বৃদ্ধি, এবং পেশী পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- চিয়া সিড মানব শরীরের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহযোগিতা করে থাকে।
- কাজ করার পূর্বে যদি চিয়া সিড খাওয়া হয় তাহলে এটি আপনার কাজের মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং কাজের প্রতি একাগ্রতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে।
- চিয়া সিড খাওয়ার ফলে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহযোগিতা করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- চিয়া সিডের মুরগির ডিমের চাইতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, যার ফলে এটি আমাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সহযোগিতা করে।
- চিয়া সিড কোলন ক্যান্সারের যোগী কমায় এবং মলাশয় পরিষ্কার করতে সহযোগিতা করে।
- বিশেষজ্ঞদের মতে দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় চিয়া সিডে, যা আমাদের হাড় মজবুত করতে সহযোগিতা করে।
- পুষ্টিবিদদের মতে চিয়া সিড এর মধ্যে শ্যামন মাছের চেয়ে প্রায় আট গুণ বেশি পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে।
- চিয়া সিড আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সহযোগিতা করে থাকে।
- চিয়া সিড এর মধ্যে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি আমাদের হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সহযোগিতা করে।
- চিয়া সিড এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্যায়ামের পরে পেশীর ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করতে কার্যকারি ভূমিকা পালন করে।
- যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য চিয়া সিড একটি আদর্শ খাবার। কারণ চিয়া সিড খেলে রাত্রে ভালো ঘুম আসে।
- চিয়া সিড খাওয়ার ফলে এটি আমাদের ত্বক, চুল নখ সুন্দর রাখতে সহযোগিতা করে।
অপকারিতা
চিয়া সিড এর যেমন বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে, তেমনি এটি বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে এর কিছু অপকারিত দেখা যায়। গবেষকদের মতে, বেশি পরিমাণে চিয়া সিড খেলে এটি আমাদের দেহে হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে আমাদের গ্যাস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিয়া সিডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটে ব্যথার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরের অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমিয়ে দিতে পারে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সেট খেলে এটি প্রোটেস্ট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও চিয়া সিড আমাদের দেহের সরকার ও নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
তবে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে রক্তচাপ অতিরিক্ত কমিয়ে আনে। যার ফলে আমাদের লো প্রেসার এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত। তবে যারা প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে চান তাদের জন্য চিয়া সিড একটি আদর্শবান খাওয়ার হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে।
যা আমাদের অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যারা ওজন কমাতে যান তাদের জন্য চিয়া সিড খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যে নিয়মে খেলে এটি আপনাদের প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
তাহলে চলুন এবার ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আপনারা এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পান করুন। এর ফলে এটি আপনার শরীরকে ডিটক্স করতে সহযোগিতা করবে।
- আপনারা আপনাদের প্রিয় ফলের সাথে বা জুসের সাথে এক থেকে দুই চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করলে এটি আপনার শরীরে অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহযোগিতা করবে।
- এছাড়াও আপনারা আপনাদের সালাদে চিয়া সিড ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে এটি আপনার খাবারের পুষ্টিগুণা গুন বাড়াবে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমাতে সহযোগিতা করবে।
- আপনারা চাইলে আপনাদের রান্না করা সবজি সুপের সাথে এক চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার সুপ বা সবজির ঘনত্ব বাড়াবে এবং আপনার খাবারের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে।
- আপনাদের প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের ওজন কমাতে দৈনিক ১০০ গ্রাম করে চিয়া সিড খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে এটি আপনাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহযোগিতা করবে।
চিয়া সিড খেলে কি ওজন বাড়ে
চিয়া সিড খেলে ওজন বাড়তে পারে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান। তবে চিয়া সিড খেলে ওজন বাড়তে পারে তা নির্ভর করে আপনার খাওয়ার পরিমাণ এবং খাদ্যাভাসের ওপর।
দুধ বা সালাদের সাথে ২ চামচের বেশি চিয়া সিড রাত্রে মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে এটি আপনার ওজন বাড়াতে সহযোগিতা করবে। তাছাড়াও প্রতিদিন খাবারের সাথে যেমন ওটমিল, টক দই বা ফলের সাথে বেশি পরিমাণে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলে এর মধ্যে থাকা ক্যালরির অতিরিক্ত চর্বি হিসেবে জমা হয়ে ওজন বাড়াতে পারে।
তবে সাধারণত চিয়া সিড খেলে এটি আমাদের ওজন কমাতে সহযোগিতা করে থাকে। কারণ এর মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেটাবলিজম বাড়াতে সহযোগিতা করে। যা আমাদের ওজন কমাতে বিশেষভাবে উপযোগী।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড গ্রহণের ফলে এটি আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। সেই সাথে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নিয়ম মেনে আস্তে আস্তে চিয়া সিড এর পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাহলে এটি আপনার প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন বাড়াতে সহযোগিতা করবে।
চিয়া সিড খাওয়ার সময়
সাধারণত চিয়া সিড খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় বা বাধ্যতামূলক সময় নেই। তবে এটিকে কিছু উপযুক্ত সময়ে খেলে এটি আপনার জন্য স্বাস্থ্যের জন্য আরও উপকারী হবে। তাহলে চলুন এইবার চিয়া সিড খাওয়ার কিছু সেরা সময় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- চিয়া সিড নাস্তার পরে বা সকালে খালি পেটে খেলে এটি আপনাকে সারা দিন শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে।
- এছাড়াও যারা ওজন কমাতে চান তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে এটি তাদের প্রাকৃতিক উপায় ওজন কমাতে সহযোগিতা করবে।
- আপনারা চাইলে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় দুইবার খাওয়ার মাঝখানে এটি খেতে পারেন।
- আপনারা চাইলে রাতে ঘুমানোর আগেও চিয়া সিড খেতে পারেন। যার ফলে এটি আপনাদের হজমে সহযোগিতা করবে এবং শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করবে।
চিয়া সিড খাওয়ার পরিমাণ
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের একটি রিপোর্ট এর মতে, আপনারা চাইলে প্রতিদিন ২৮ গ্রাম অথবা দুই থেকে তিন টেবিল চামচ চিয়া সিট খেতে পারেন। আর এটি আপনাকে সুস্থ রাখতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবে। ইউএসডিএ ন্যাশনাল নিউট্রিয়েন্ট ডাটাবেস অনুসারে, দুই চামচ চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে ১০ গ্রাম ফাইবার, ৪ গ্রাম প্রোটিন, ৯ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি।
সেইসাথে এর মধ্যে রয়েছে দৈনন্দিন চাহিদার ১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ৩০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম এবং ২৭ শতাংশ ফসফরাস। এজন্য আপনাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরের গুণগতমান বৃদ্ধি করতে আপনারা প্রতিদিন ২৮ গ্রাম সমপরিমাণ চিয়া সিড খেতে পারেন।
এর চেয়ে বেশি পরিমাণে খেলে এটি আপনার হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি আপনার পেট ফাঁপা এবং পেটে ব্যথার সমস্যার কারণ হতে পারে।
চিয়া সিড খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
চিয়া সিড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। আর এটি সাধারণত পুদিনা পরিবারের সালভিয়া হিস্পানিকা উদ্ভিদ থেকে আহরণ করা হয়ে থাকে। আর এই বীজটির জনপ্রিয়তা পুরো বিশ্বজুড়ে রয়েছে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যকরী উপায় ওজন কমানোর পাশাপাশি এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
একজন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান ডা. স্মৃতি ঝুনঝুনওয়ালার (বিএইচএমএস) এর মতে চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা ৩। যার ফলে চিয়া সিট খেলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিত সহযোগিতা করে থাকে।
তাছাড়াও চিয়া সিডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি আমাদের গ্যাসের সমস্যা দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহযোগিতা করে। যার ফলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে বাঁচতে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে থাকে।
শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা চিয়া সিড খাওয়ার ১৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। সেই সাথে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে এখানে চিয়া সিড এর সম্পর্কিত আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যেগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন।
এই ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন এবং আমাদের সাপোর্ট করুন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url