এ্যাকটিজেন কিসের ওষুধ, কাজ কি, দাম কত এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সম্পর্কে জানুন
এ্যাকটিজেন কিসের ওষুধ, কাজ কি, দাম কত এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা হয়তো এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে দেখেছেন কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাচ্ছেন না।
তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা উক্ত বিষয় সহ আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। এই জন্য আপনারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন।
এ্যাকটিজেন এর দাম কত
এ্যাকটিজেন ওষুধটির মূল্য বিভিন্ন জায়গায় এবং বিভিন্ন ফার্মেসিতে একেক ধরনের দাম হতে পারে। তবে এই ঔষধটির সঠিক মূল্য হচ্ছে-
- প্রতিটি ঔষধের মূল্য: 2.03 টাকা
- প্রতিটি পাতার মূল্য ( প্রতিটি পাতায় দশটি করে ঔষধ রয়েছে ): 20.30 টাকা
- প্রতিটি বক্সের মূল্য: 203 টাকা
এ্যাকটিজেন কিসের ওষুধ
এ্যাকটিজেন ওষুধটি মূলত একটি শক্তিশালী এন্টিহিস্টামিন ঔষধ। এই অবসরটি মূলত এলার্জির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস এবং পেরিনিয়াল এলার্জি ক্রাইমাইটিস জনিত রোগ নিরাময়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এছাড়াও এটি ত্বকের ক্রণিক ইডিয়প্যাথিক অ্যার্টিক্যারিয়া এবং এলার্জিজনিত এ্যাজমার চিকিৎসার জন্য নির্দেশিত একটি ঔষধ। এই ওষুধটি এ্যালার্জেন এর কারণে সৃষ্ট হওয়া এ্যাজমা দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এ্যাকটিজেন এর কাজ কি
এ্যাকটিজেন ওষুধটি এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দ্বারা তৈরীকৃত একটি ঔষধ। আর এই ঔষধটির মূল উপাদান হচ্ছে সেটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড। যা একটি শক্তিশালী H1 রিসেপ্টর এন্টাগোনিস্ট। এটি হিস্টামিন জনিত এলার্জির প্রাথমিক লক্ষণগুলো বন্ধ করে।
সেই সাথে এলার্জির প্রদাহ তৈরি করি কোষের বিচরণকে রাস করে এবং এলার্জির শেষ ধাপের লক্ষণ গুলোর জন্য দায়ী যে রাসায়নিক উপাদান গুলো রয়েছে এটি সেগুলোর পরিমাণ হ্রাস করে। সেটিরিজিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড শক্তভাবে প্রোটিনের সাথে যুক্ত থাকে।
যার ফলে এ্যাকটিজেন ওষুধটি গ্রহণের পর এক ঘণ্টার মধ্যে এটি এলার্জির লক্ষণগুলো বন্ধ করে। সেই সাথে আমাদের শরীরের এলার্জি উৎপাদনকারী রাসায়নিক উপাদানগুলোর পরিমাণ কমিয়ে আমাদের এলার্জি বিরুদ্ধে লড়াই করে।
এ্যাকটিজেন খাওয়ার নিয়ম
এ্যাকটিজেন ওষুধটি আমাদের এলার্জিজনিত সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহযোগিতা করে। এই ঔষধটি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যা মেনে খেলে এটি আমাদের শরীরে আরো দ্রুত কাজ করবে। নিচে এটি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
- সেটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড যুক্ত ওষুধগুলো সাধারণত খাবার খাওয়ার পরে সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
- এই ঔষধটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ১ টি করে ট্যাবলেট সেবন করতে বলা হয়ে থাকে। তবে রোগের ধরন অনুযায়ী এর ডোজ কম বেশি করা যায়।
- ২ থেকে ৬ বছরের বাচ্চাদের জন্য দৈনিক এক চা চামচ করে একবার অথবা দৈনিক হাফ চা চামচ করে দুইবার খেতে হবে।
- ৬ মাস থেকে ২ বছরের বাচ্চাদের জন্য দৈনিক হাফ চা চামচ করে একবার সেবন করতে হবে।
- এছাড়াও আপনারা এই ঔষধটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারেন।
এ্যাকটিজেন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এ্যাকটিজেন ওষুধটি আমাদের এলার্জিজনিত সমস্যার সমাধানে কাজ করে থাকে ঠিকই। কিন্তু এই ওষুধটি সেবন করার ফলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে সেগুলো সাধারণ এবং মৃদু সময়ের জন্য দেখা দেয়।
এই ওষুধটি ব্যবহার করার ফলে সাধারণ বা খুব বেশি যেটা দেখা যায় তা হলো ঝিমুনি। এছাড়াও এই ওষুধটি অতিরিক্ত ডোজ গ্রহণ করলে আরো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রেখা দিতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- মাথাব্যথা
- বমি বমি ভাব
- হাঁচি ও নাক দিয়ে পানি পড়া
- শুষ্ক মুখ
এছাড়াও সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া যদি অতি সংবেদনশীল কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে এ্যাকটিজেন খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় এ্যাকটিজেন ওষুধটি ব্যবহারের কোন পর্যাপ্ত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এজন্য এই ঔষধটি গর্ভবতী মহিলারা কোন নির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়া এটি ব্যবহার না করায় উত্তম হবে। যেহেতু সেটিরিজিন হাইড্রোক্লোরাইড মাতৃদুদ্ধে নিঃসৃত হয়।
সেহেতু স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি গ্রহণে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। প্রয়োজনে এই ঔষধটি সেবন করার পূর্বে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন।
এ্যাকটিজেন ব্যবহারে সতর্কতা
এ্যাকটিজেন ওষুধটি আমাদের এলার্জিজনিত সমস্যার সমাধান করে থাকে। তবে এই ওষুধটি গ্রহণের পর বেশকিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তা না হলে অজান্তেই আপনাদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
এই ঔষধটি সেবন করার ফলে আপনার অতিরিক্ত ঘুম বা ঝিমুনি হতে পারে। এজন্য এই ওষুধটি সেবন করার পরে গাড়ি ও ভারী মেশিন চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এছাড়াও এই ওষুধটি গ্রহণ করার পর অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল বা অন্যান্য সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এ্যাকটিজেন কিসের ওষুধ, কাজ কি, দাম কত এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আমরা আজকের আর্টিকেলে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরেছি যেগুলো আপনাদের ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন।
এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের আরো নিত্যনতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন এবং আমাদের সাপোর্ট করুন। কারন আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url