ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার - সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার - সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এই সম্পর্কে আজকের এই আক্কেলে আমরা আলোচনা করব। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্যই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ঘুমের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
এজন্য আপনারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
আমাদের বর্তমান জেনারেশনে বিভিন্ন কারণে এখনকার মানুষদের অনিদ্রার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন। সারাদিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে রাত্রে ঘুমানোর সময় ঘুমাতে গেলেই আর ঘুম আসতে চাই না। তবে আমাদের জীবনে সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য ঘুম হতাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে আমাদের কাজে মনোযোগ বসেনা এবং সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। আর এজন্যই আমরা আজকের এই আটকেলে আপনাদের ঘুম না হওয়ার কারণ এবং এর প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ঘুম না হওয়ার কারণ
- আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান না হওয়ার কারণে বা কাজের চাপ এবং আর্থিক সমস্যা জনিত জটিলতার কারণে আমাদের মন অনেক সময় অস্থির হয়ে থাকে। আর এই মানসিক অস্থিরতার কারণেই রাতে ঘুমাতে গেলে ঘুম আসতে চায়না।
- এখনকার সময়ে অনেকেরই একটি বদভ্যাস রয়েছে সেটি হচ্ছে অনিয়মিতভাবে জীবন যাপন। তার মধ্যে একটি হলো রাতে অনেক দেরিতে ঘুমানো এবং সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস। এই কারণেও আমাদের অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে।
- ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন: চা এবং কফির মত পানীয় খেলে এটি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে। যার ফলে আমাদের ঘুমের স্বাভাবিক চক্রতে ব্যাঘাত ঘটে থাকে।
- এছাড়াও ধূমপানের মধ্যে থাকার নিকোটিন আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে আমরা ঘুমাতে গেলে সহজে ঘুম আসতে চায়না।
- আমরা অনেকেই রাতে ঘুমানোর পূর্বে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকে। আর এই সকল ডিভাইসের স্ক্রিনের যে নীল আলো মেলাটোনিন রয়েছে এটি আমাদের ঘুমের হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে আনে। যার ফলে আমাদের সহজে ঘুম আসে না।
- এছাড়াও ঘুমানোর পরিবেশ যদি আরামদায়ক না হয় তাহলে আমাদের সহজে ঘুম আসে না।
- অনেকের আবার স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে যার কারণে তাদের অনেক সময় শ্বাস নিতে সমস্যা হয় এর ফলে করবার ঘুম ভেঙে যায়।
- কিছু কিছু মানুষের অনিদ্রার ও ঘুমের বেঁধের জন্য তাদের জেনেটিক প্রবণতা থাকতে পারে।
- এছাড়াও কিছু কিছু ওষুধ যেমন এন্টিডিপ্রেসেন্ট বা অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ার ফলে এটি আমাদের সনায়তন্ত্রকে সক্রিয় রাখে, যার ফলে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
ঘুম না আসার প্রতিকার
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করো এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন।
- ঘুমানোর পূর্বে ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় খাবার চা, কফি বা অন্যান্য ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
- ঘুমানোর পূর্বে পারলে গরম দুধ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ঘুমানোর পূর্বে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং টিভি দেখা থেকে বিরত থাকুন।
- ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই আপনার ঘরকে আরামদায়ক এবং শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
- যদি আপনাদের মানসিক চাপ থেকে থাকে তাহলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ধ্যান করুন। তাহলে এটি আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং আরামদায়ক ঘুম এনে দিবে।
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন।
- যদি আপনাদের ঘুমের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন।
সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত? আমাদের অনেকেরই এই বিষয়টি সম্পর্কে মনে প্রশ্ন জাগে। আর আমাদের সুস্থভাবে জীবন যাপনের জন্য ঘুম অপরিহার্য। যদি আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে আমাদের শরীর ও মন দুটোই ঠিকমত কাজ করে না।
বিজ্ঞানীদের মতে তারা গবেষণা করে এবং একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন সেটি হল বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঘুমের চাহিদা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাহলে চলুন এবার আমরা বয়স অনুযায়ী আমাদের সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- ০ থেকে ৩ মাস বয়সের শিশুদের জন্য: দৈনিক ১৪-১৭ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন
- ৪ থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুদের জন্য: প্রতিদিন ১২-১৫ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন
- ১ থেকে ২ বছরে শিশুদের জন্য: প্রতিদিন ১১-১৪ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন
- ৩ থেকে ৫ বছরে শিশুদের জন্য: দৈনিক ১০-১৩ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন
- ৬ থেকে ১৩ বছরে শিশুদের জন্য: দৈনিক ৯-১১ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন
- ১৪ থেকে ১৭ বছরে কিশোরদের জন্য: প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন
- ১৮ থেকে ২৫ বছরের যুবকদের জন্য: প্রতিদিন ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন
- প্রাপ্ত বয়স ও ২৫ থেকে ৬৪ বছর মানুষদের জন্য: প্রতিদিন ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন
- ৬৫ বছরের ওপরের বয়স্ক মানুষদের জন্য: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন
ঘুমানো মানে শুধু বিশ্রাম নেওয়া হয় নয় এটি আমাদের শরীরের সুষ্ঠুভাবে কার্যকলাপের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আর এজন্য আমাদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। যার ফলে এটি আমাদের হরমোনের ভারসাম্য এবং মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।
মানুষ না ঘুমিয়ে কতদিন বেঁচে থাকতে পারে
একজন মানুষকে সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপনের জন্য তার দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। আর এ সময়টা আমাদের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে পারে। দেখবেন যে সকল মানুষদের ঘুম কম তারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভোগে থাকে। আর আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মেজাজ বিগড়ে থাকে।
সেই সাথে আমাদের দেখা দিতে পারে নানান ধরনের মানসিক সমস্যা। বেঁচে থাকার জন্য যেমন পানি ও খাবার অপরিহার্য তেমনি বেঁচে থাকার জন্য আমাদের ঘুমও অত্যন্ত জরুরী। কোন ব্যক্তি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারে তাহলে শরীর এবং মন দুটোই প্রফুল্ল থাকে।
এখন আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে সেটি হচ্ছে মানুষ কতদিন না ঘুমিয়ে বেঁচে থাকতে পারে? একজন মানুষ যেমন টানা কিছুদিন পানি বা খাবার না খেয়ে থাকলে মারা যায় তেমনি একজন মানুষ যদি টানা কয়েকদিন না ঘুমায় তাহলে সেও মারা যেতে পারে।
আর একজন মানুষ যদি টানা ১১ দিন না ঘুমায় তাহলে তার মৃত্যু ঘটতে পারে। জি অবশ্যই একজন মানুষ ১১ দিনের চেয়ে বেশি না ঘুমিয়ে বেঁচে থাকতে পারে না। কারণ একজন মানুষের দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
আর কোন ব্যক্তি যদি টানা ১১ দিন না ঘুমিয়ে থাকে তাহলে এটি তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় এবং নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আর এক সময় দেখা যায় এ সকল সমস্যা অনেক বেশি হয়েছে যে সে মানুষটি মারা যায়।
ঘুম না হলে কি রোগ হয়
আমাদের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে আমাদের শরীরে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পুরো বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৫৩ টি গবেষণাা করে দেখা গেছে যে, একজন ব্যক্তির যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে তার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং মোটা হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আর এই গবেষণাটি প্রায় ৫০ লাখ মানুষের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে। যদি একজন মানুষ একটানা কয়েক রাত ঘুমের পরিমাণ কম হয়ে থাকে তাহলে তার ডায়াবেটিসের প্রান্তে চলে যেতে পারে। কারণ অনিদ্রার কারণে এটি আমাদের শরীরের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে।
এছাড়াও কোন ব্যক্তি যদি টানা তিন মাস নিয়মিত সঠিক মাত্রায় না ঘুম পারে তাহলে এটি তার অকাল মৃত্যু, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মত সমস্যা দশগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে যারা দেরিতে ঘুমায় বা কম ঘুমায় তাদের অনেক সময় তাদের প্যানিক অ্যাটাক এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুশতাক হোসেন বলেছেন যে, নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে আনতে পারে। এছাড়াও গবেষণা করে দেখা গেছে যে, সকল ব্যক্তিদের ঘুম কম তারা অন্যদের চাইতে অপ্রাপ্তবয়সেই মারা যেতে পারে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে মস্তিষ্কের মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে। সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আমাদের হজমের সমস্যা ও বাড়তে পারে।
কি খেলে ঘুম ভালো হয়
একটি কথা মনে রাখবেন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খাবার এবং ঘুম দুটোই অপরিহার্য। প্রতিদিন সঠিকভাবে চলার জন্য যেমন আমাদের খাবারের প্রয়োজন রয়েছে। তেমনি মানসিক শান্তির জন্য আমাদের ঘুমেরও প্রয়োজন রয়েছে।
আবার বিভিন্ন গবেষণা করে দেখা গেছে যে, কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে এটি আপনার রাতে ঘুম ভালো আনতে পারে। আর এ সকল খাবার এর মধ্যে মেলাটোনিন ও কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসরণ হয় যার ফলে আমাদের রাতে ঘুম ভালো হয়।
তাহলে চলুন এইবার সেই সকল খাবারের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যেগুলো খেলে আমাদের ঘুম ভালো হয়। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। কারণ দুধের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো এসিড ট্রিপটোফ্যান আমাদের ভালো ঘুম এনে দিতে সাহায্য করে থাকে।
- এছাড়াও আপনারা সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি যা আমাদের ঘুমের জন্য খুবই উপকারী একটি ভিটামিন।
- আপনারা চাইলে কাঠবাদাম খেতে পারেন কারণ এটি মেলাটোনিনের ভালো উৎস যা আমাদের ঘুমের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
- আপনারা খাবার হিসেবে কলাও গ্রহণ করতে পারেন এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আমাদের ভালো ঘুম এনে দিতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও ভালো ঘুমের জন্য আরেকটি উপকারী ফল হচ্ছে পাকা আম। পাকা আম খেলে আমাদের অনেকেরই ভালো ঘুম হয়ে থাকে।
- নিয়মিত মধু খেলে এটি আমাদের শরীরে মধ্যে সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে যা আমাদের ঘুমের জন্য খুবই কার্যকরী।
- রাতে ঘুমানোর জন্য চেরি ফল খুবই কার্যকর একটি খাবার। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রাতে ভালো ঘুম এনে দিতে সাহায্য করে থাকে।
- এছাড়াও ফ্যাট যুক্ত মাছ খেলে ভাল ঘুম হতে পারে। এজন্য আপনারা রাতে খাবারের সঙ্গে ফ্যাট যুক্ত মাছ খেতে পারেন এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে।
কোন ভিটামিন খেলে ঘুম বেশি হয়
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষেরই বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপে, অতিরিক্ত মোবাইল এবং টেলিভিশন বা বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করার কারণে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। আর এই ঘুমের ব্যবহার কারণে আমাদের নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে গবেষণা করে দেখা গেছে যে, এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো গ্রহণের ফলে আমাদের ঘুম ভালো হতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন এবার সেই সকল ভিটামিন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেগুলো খেলে আমাদের ঘুম ভালো হবে।
বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা একটি পরামর্শ দিয়েছেন সেটি হচ্ছে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেলে এটি আমাদেরকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে এবং গভীর ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে। যাদের ঘুম সম্পর্কিত ব্যাধি রয়েছে তারা ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
এর ফলে এটি আপনার ঘুমের সমস্যা দূর করবে। সেই সাথে এনে দিবে আপনাদের আরামদায়ক ঘুম। সেই সাথে এই ভিটামিন ডি আমাদের আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
ভালো ঘুমের জন্য কি করা উচিত
চিকিৎসকদের মতে একজন সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন অন্তত সাত ঘন্টা ঘুমানো উচিত। তবে কি করলে আমাদের ভালো ঘুম হবে এ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। অনেকেই ঘুমানোর পূর্বে বিভিন্ন ধরনের পথ অবলম্বন করে থাকেন, কিন্তু সেগুলো অবলম্বন করেও ভালো ঘুম হয় না।
তাহলে চলুন আপনাদের আজকে এমন কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। যে সকল উপায় গুলো মেনে চললে আপনাদের ভালো ঘুম হবে এবং মন উৎফুল্ল হয়ে থাকবে। তাহলে চলুন এবার ভালো ঘুমের জন্য কি করা উচিত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- ভালো ঘুমের জন্য আপনারা চাইলে রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে মৃদু গরম পানিতে গোসল করে শোয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- ঘুমানোর পূর্বে আপনারা আপনার রুমের সব বাতি নিভিয়ে হালকা বাতিতে বই পড়তে পারেন। এরপর ঘুমাতে যেতে পারেন তাহলে এটি আপনার আরামদায়ক ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে।
- এছাড়াও প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। চিকিৎসকদের মতে আপনারা রাত্রে দশটা থেকে ১১ টার মধ্যে ঘুমাতে গেলে তখন কার ঘুম পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
- এছাড়াও স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন এবং প্রতিদিন ঘুমানোর অন্তত ১ থেকে ২ ঘন্টা পড়বে রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- এছাড়াও আপনারা চাইলে বাদাম বা দই রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে খেতে পারেন তাহলে এর মধ্যে থাকা মেলাটোনিন হরমোন আপনার রাতে ভালো ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে।
- রাত্রে ভালো ঘুম আনার জন্য আপনারা আপনাদের ঘরে লাল বাতি জ্বালাতে পারেন। কারণ গবেষণা করে দীঘা গেছে যে লাল আলো আমাদের শরীরে মেলাটোনিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে এটি আমাদের ভালো ঘুম এনে দিতে সাহায্য করবে।
- এছাড়াও রাতে ভালো ঘুম পাওয়ার জন্য আপনার বেডরুমের পরিবেশ অবশ্যই সুন্দর মত এবং শান্তশিষ্ট ভাবে রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনারা রাত্রে ঘুমানোর সময় একটি স্বাস্থ্যকর ঘুম এবং আরামদায়ক ঘুম পেতে পারবেন।
- এছাড়াও রাত্রে ভালো এবং স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য আপনারা দিনের বেলায় নিয়মিত ব্যায়াম করুন। কারণ নিয়মিত ব্যায়াম করলে এটি ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার - সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে এবং বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও আমরা আজকের এই আর্টিকেলে ঘুম নিয়ে আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরেছি। যেগুলো আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
এই ধরনের আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ফলো করুন এবং আমাদের সাপোর্ট করুন। কারণ আমরা এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাংলা আটকে লিখে পাবলিশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url